ঢাকা ১২:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo হজযাত্রীর কোটা না বাড়িয়ে এক হাজারই বহাল রাখতে সৌদি সরকারকে অনুরোধ করেছে ধর্ম উপদেষ্টা Logo জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত Logo বেদখল হওয়া খাসজমি উদ্ধারে সম্ভব্য সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে  – খাদ্য ও ভূমি  উপদেষ্টা Logo দেশের খাদ্য পরিস্থিতি অত্যন্ত সন্তোষজনক- খাদ্য উপদেষ্টা Logo পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে কয়লা বোঝাই ট্রাকসহ বেইলি ব্রিজ ভেঙে খালে যান চলাচল বন্ধ Logo আড়িয়াল বিলকে সংরক্ষিত এলাকা অথবা বিশেষ জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ এলাকা ঘোষণা করা হবে——-উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান Logo বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কার ২০২৪” এর জন্য ২১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মনোনীত Logo জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত কাস্টমস ও ভ্যাট অনুবিভাগের রাজস্ব আহরণ অগ্রগতি পর্যালোচনা Logo শিশুশ্রম বন্ধে সরকারের অঙ্গীকার: কোনো শিশুই ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত থাকবে না Logo নওগাঁয় শুরু হয়েছে তিন দিননব্যাপী জাতীয় ফল মেলা

দেশের খাদ্য পরিস্থিতি অত্যন্ত সন্তোষজনক- খাদ্য উপদেষ্টা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:৫৩:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫
  • ৫২৭ বার পড়া হয়েছে

আলী আহসান রবি, ২০ জুন,২০২৫, শুক্রবার, পটুয়াখালী জেলার সার্কিট  হাউসে অনুষ্ঠিত চলতি মৌসুমের বোরো সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন,  মজুদ ও বিতরণ বিষয়ে  পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার খাদ্য অধিদপ্তরের  কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার এসব কথা বলেন।

মতবিনিময় সভায় পটুয়াখালী জেলার বোরো সংগ্রহের ধান ও চালের লক্ষ্যমাত্রা যথাক্রমে ১ হাজার ৯২৫ মেট্রিক টন এবং ৫ হাজার ৬৯৫মেট্রিক টন।  ইতোমধ্যে ১ হাজার ৯২৫ মেট্রিক টন ধান এবং ৪ হাজার ৯৯৭মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ হয়েছে। বরগুনা জেলার বোরো ধান ও চালের লক্ষ্যমাত্রা যথাক্রমে ৫ শত মেট্রিক টন এবং ১ হাজার ৫১৩ মেট্রিক টন। ইতোমধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৫ শত মেট্রিক টন ধান  এবং ১ হাজার ৩৪৯ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়াও বরগুনা জেলার ০৬ টি এলএসডি’র ধারণ ক্ষমতা ১৫ হাজার মেট্রিক টন
মর্মে মতবিনিময় সভায় জানানো হয়।

খাদ্য উপদেষ্টা বলেন,দেশে বোরোধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। দেশে খাদ্য পরিস্থিতি অত্যন্ত সন্তোষজনক। তবে আমরা  সন্তোষজনক অবস্থানে কখনো ঠিক থাকতে পারি না। কারণ এটা ক্রমগত খরচ হচ্ছে আবার ক্রমগত যোগও হচ্ছে। এবার বোরো আবাদ যেমন ভালো হয়েছে, আমনটাও যদি ভালো হয় তাহলে বিদেশ থেকে আর চাল আমদানি করতে হবে না। জেলার খাদ্য সংগ্রহ এবং বিতরণে জেলা প্রশাসকগনকে ক্লোজ মনিটরিং করার জন্য নির্দেশনা দেন । এ ছাড়াও দুর্যোগ প্রবণ জেলা হিসেবে পটুয়াখালী ও বরগুনাকে বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে খাদ্য সরবরাহ চ্যানেল নিরবিচ্ছিন্ন রাখার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন,বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে  সাড়ে ১৭ লাখ টন ধান ও চাল সংগ্রহ করা হবে। এরমধ্যে সাড়ে তিন লাখ টন ধান ও ১৪ লাখ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষককে প্রাইস সাপোর্ট দেওয়ার জন্য
গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ৪ টাকা বৃদ্ধি করে ধান ৩৬ টাকা এবং চাল ৪৯ টাকা কেজি দরে কেনা হচ্ছে। ২৪ এপ্রিল থেকে সারাদেশে বোরো মৌসুমের ধান-চাল কেনা শুরু হয়েছে এবং এ সংগ্রহ অভিযান  ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে ।

খাদ্য উপদেষ্ঠা  আরও বলেন,অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সাশ্রয়ী দামে খাদ্য নিশ্চিত করতে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে খাদ্য ভর্তুকিতে বরাদ্দ বাড়িয়ে ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে খাদ্য ভর্তুকিতে বরাদ্দ রয়েছে  ৮ হাজার ৫৯ কোটি টাকা। সরকার ওএমএস  এবং টিসিবি মাধ্যমে খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করেছে। আগামী অর্থবছরে এসব কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগী পরিবারের সংখ্যা ৫০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৫৫ লাখে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতিটি পরিবারকে মাসে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল দেওয়া হবে। বর্তমানে এ কার্যক্রম বছরে পাঁচ মাস চালু আছে,আগামী অর্থবছর থেকে পাঁচ মাসের স্থলে ছয় মাস চালু থাকবে।
পটুয়াখালী জেলার জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনের সভাপতিত্বে  বরিশাল বিভাগের  আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্ররক,পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার ডিসি ফুডসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হজযাত্রীর কোটা না বাড়িয়ে এক হাজারই বহাল রাখতে সৌদি সরকারকে অনুরোধ করেছে ধর্ম উপদেষ্টা

দেশের খাদ্য পরিস্থিতি অত্যন্ত সন্তোষজনক- খাদ্য উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৫:৫৩:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

আলী আহসান রবি, ২০ জুন,২০২৫, শুক্রবার, পটুয়াখালী জেলার সার্কিট  হাউসে অনুষ্ঠিত চলতি মৌসুমের বোরো সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন,  মজুদ ও বিতরণ বিষয়ে  পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার খাদ্য অধিদপ্তরের  কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার এসব কথা বলেন।

মতবিনিময় সভায় পটুয়াখালী জেলার বোরো সংগ্রহের ধান ও চালের লক্ষ্যমাত্রা যথাক্রমে ১ হাজার ৯২৫ মেট্রিক টন এবং ৫ হাজার ৬৯৫মেট্রিক টন।  ইতোমধ্যে ১ হাজার ৯২৫ মেট্রিক টন ধান এবং ৪ হাজার ৯৯৭মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ হয়েছে। বরগুনা জেলার বোরো ধান ও চালের লক্ষ্যমাত্রা যথাক্রমে ৫ শত মেট্রিক টন এবং ১ হাজার ৫১৩ মেট্রিক টন। ইতোমধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৫ শত মেট্রিক টন ধান  এবং ১ হাজার ৩৪৯ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়াও বরগুনা জেলার ০৬ টি এলএসডি’র ধারণ ক্ষমতা ১৫ হাজার মেট্রিক টন
মর্মে মতবিনিময় সভায় জানানো হয়।

খাদ্য উপদেষ্টা বলেন,দেশে বোরোধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। দেশে খাদ্য পরিস্থিতি অত্যন্ত সন্তোষজনক। তবে আমরা  সন্তোষজনক অবস্থানে কখনো ঠিক থাকতে পারি না। কারণ এটা ক্রমগত খরচ হচ্ছে আবার ক্রমগত যোগও হচ্ছে। এবার বোরো আবাদ যেমন ভালো হয়েছে, আমনটাও যদি ভালো হয় তাহলে বিদেশ থেকে আর চাল আমদানি করতে হবে না। জেলার খাদ্য সংগ্রহ এবং বিতরণে জেলা প্রশাসকগনকে ক্লোজ মনিটরিং করার জন্য নির্দেশনা দেন । এ ছাড়াও দুর্যোগ প্রবণ জেলা হিসেবে পটুয়াখালী ও বরগুনাকে বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে খাদ্য সরবরাহ চ্যানেল নিরবিচ্ছিন্ন রাখার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন,বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে  সাড়ে ১৭ লাখ টন ধান ও চাল সংগ্রহ করা হবে। এরমধ্যে সাড়ে তিন লাখ টন ধান ও ১৪ লাখ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষককে প্রাইস সাপোর্ট দেওয়ার জন্য
গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ৪ টাকা বৃদ্ধি করে ধান ৩৬ টাকা এবং চাল ৪৯ টাকা কেজি দরে কেনা হচ্ছে। ২৪ এপ্রিল থেকে সারাদেশে বোরো মৌসুমের ধান-চাল কেনা শুরু হয়েছে এবং এ সংগ্রহ অভিযান  ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে ।

খাদ্য উপদেষ্ঠা  আরও বলেন,অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সাশ্রয়ী দামে খাদ্য নিশ্চিত করতে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে খাদ্য ভর্তুকিতে বরাদ্দ বাড়িয়ে ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে খাদ্য ভর্তুকিতে বরাদ্দ রয়েছে  ৮ হাজার ৫৯ কোটি টাকা। সরকার ওএমএস  এবং টিসিবি মাধ্যমে খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করেছে। আগামী অর্থবছরে এসব কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগী পরিবারের সংখ্যা ৫০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৫৫ লাখে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতিটি পরিবারকে মাসে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল দেওয়া হবে। বর্তমানে এ কার্যক্রম বছরে পাঁচ মাস চালু আছে,আগামী অর্থবছর থেকে পাঁচ মাসের স্থলে ছয় মাস চালু থাকবে।
পটুয়াখালী জেলার জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনের সভাপতিত্বে  বরিশাল বিভাগের  আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্ররক,পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার ডিসি ফুডসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।