
আলী আহসান রবি: ২৬ জুন ২০২৫, জার্মান রাষ্ট্রদূত আছিম ট্রস্টার আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়ামের সাথে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন, তার কূটনৈতিক দায়িত্ব শেষ হওয়ার সাথে সাথে। পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূতকে তার সফল মেয়াদের জন্য অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশ-জার্মানি সম্পর্ক উন্নয়নে তার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। তিনি আস্থা প্রকাশ করেন যে রাষ্ট্রদূত ট্রস্টারের মেয়াদকালে যে গতি তৈরি হয়েছিল তা তার উত্তরসূরি দ্বারা অব্যাহত থাকবে।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূতের কার্যকালের গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলকগুলি স্মরণ করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে ২০২১ সালের আগস্টে বার্লিনে অনুষ্ঠিত প্রথম কৌশলগত সংলাপ, জলবায়ু ও উন্নয়ন অংশীদারিত্বের মাধ্যমে অর্জিত অগ্রগতি এবং বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতার সম্প্রসারণ।
পররাষ্ট্র সচিব সিয়াম বাংলাদেশের বৃহত্তম ইউরোপীয় বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে জার্মানির ভূমিকার উপর জোর দেন এবং গ্রামীণ উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, জ্বালানি দক্ষতা এবং বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধির মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে জার্মানির স্থায়ী উন্নয়ন সহায়তার স্বীকৃতি দেন।
বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য ক্রমবর্ধমান শিক্ষার গন্তব্য হিসেবে জার্মানিকে স্বীকৃতি দিয়ে পররাষ্ট্র সচিব পরামর্শ দেন যে দ্রুত ভিসা প্রক্রিয়াকরণ একাডেমিক বিনিময়কে আরও সহজতর করবে। উপরন্তু, তিনি বাংলাদেশ-ইইউ ট্যালেন্ট পার্টনারশিপের কাঠামোর অধীনে দক্ষ বাংলাদেশী পেশাদারদের জন্য বৈধ অভিবাসন চ্যানেল সম্প্রসারণের গুরুত্বের উপর জোর দেন।
পররাষ্ট্র সচিব জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি জার্মানির টেকসই মানবিক সহায়তার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, পুনরায় নিশ্চিত করেন যে মিয়ানমারে তাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনই এই সংকটের একমাত্র টেকসই সমাধান।
পররাষ্ট্র সচিব সিয়াম গ্লোবাল শিল্ড এবং ক্লাইমেট ক্লাবের মতো ভবিষ্যৎমুখী উদ্যোগগুলিতে জার্মানির বৈশ্বিক নেতৃত্বের প্রশংসা করেন, আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে বাংলাদেশ শীঘ্রই তার জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট আর্থিক ব্যবস্থা থেকে উপকৃত হবে।
পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূতের ভবিষ্যৎ প্রচেষ্টার জন্য শুভকামনা জানান।