
আজ ৬ আগস্ট ২০২৫ তারিখ মানবাধিকার সংস্থা জাস্টিস এন্ড কেয়ার আয়োজনে নগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন হাজী ফয়েজ উদ্দিন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এবং দৌলতপুর মহাসিন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে মানব পাচার, মানব চোরাচালান, অনিরাপদ অভিবাসন ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের সাথে সচেতনতামূলক সেশন অনুষ্ঠিত হয়। অনু্ষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ কমিশনার বলেন, মানব পাচার এবং পাচার হওয়া ভিকটিম সনাক্তকরণ, নিরাপদ অভিবাসন এবং বাল্যবিবাহের মত সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধ কিংবা নিয়ন্ত্রণ করা খুব সহজ কাজ নয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধারণ এবং নিরীহ লোকদের ভালো চাকুরি, মডেলিং, বিয়ের সুযোগসহ নানান সুবিধার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের ছেলে-মেয়েদের বিভিন্ন দেশে পাচার করা হয়। প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগিরা যখন বুঝতে পারে তারা পাচার হয়েছে তখন তারা নিরুপায়। একটা মানুষ যখন পাসপোর্ট ছাড়া অন্য দেশে পাচার হয় তাকে চিহ্নিত করে উদ্ধার করাটা অনেক কঠিন কাজ। মানবাধিকার সংস্থা জাস্টিস এন্ড কেয়ার বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পাচার হওয়া ভিকটিম উদ্ধার এবং তাদের আইনী সেবা সহায়তা প্রদান করে। স্কুল এবং কলেজ শিক্ষকদের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারে। শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের সচেতনমূলক প্রচেষ্টার মাধ্যমে অনেক ছাত্র-ছাত্রী এ ধরনের প্রতারণা থেকে রেহাই পেতে পারে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে তিনি মাব পাচারের বিষয়ে সচেতনতামূলক পরামর্শ প্রদানের পাশাপাশি, প্রতারণা এবং অনলাইন হয়রানি এড়াতে নানা সতর্কতামূলক পরামর্শ প্রদান করেন। এসময় পুলিশের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে এওয়ারনেস কার্ড বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে মানব পাচার ও বাল্যবিবাহ মত সামাজিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
উক্ত সেশনে জাস্টিস এন্ড কেয়ার কর্মকর্তা-সহ হাজী ফয়েজ উদ্দিন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এবং দৌলতপুর মহাসিন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষকমন্ডলী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।