ঢাকা ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo একটি মানুষের গল্প—যেখানে নেই স্বজন, নেই আশ্রয়, শুধু বেঁচে থাকার যন্ত্রণা Logo ধানের শীষের জয় হোক’ ধ্বনিতে মুখরিত ধর্মপাশা— অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ঢল। Logo ভাটারা থানার দক্ষতায় চাঞ্চল্যকর অপহরণ ও হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেফতার, লাশ ও আলামত উদ্ধার Logo নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৪৪ নেতাকর্মী গ্রেফতার Logo রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থান থেকে পেট্রোল বোমা ও ককটেল উদ্ধার Logo সাভারে ডিগ্রেডেড এয়ারশেড বাস্তবায়নে অভিযান: অবৈধ ইটভাটা বন্ধ ১২ লাখ টাকা জরিমানা। Logo চট্টগ্রামে ৩০ বছরের লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল পিপিপি চুক্তি Logo চলচ্চিত্রে সরকারি অনুদান নীতিমালায় আসছে সংশোধন Logo শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার চালু: ‘ঐতিহ্য হারাতে দেওয়া যাবে না’ Logo সূত্রাপুরে চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড: ডিবি গ্রেফতার ৫, উদ্ধার দুই পিস্তল
একই ইউনিয়নে দিন-রাতে দুটি পৃথক বিষপানের ঘটনা এলাকাজুড়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। দুজনই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছে পুলিশ।

নাইক্ষ্যংছড়িতে পৃথক ঘটনায় দুই যুব-যুবতীর বিষপান

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:২৭:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫৩৩ বার পড়া হয়েছে

নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি : বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় পৃথক দুটি ঘটনায় এক নববধূ ও এক যুবক বিষপান করেছেন।

গতকাল সোমবার (১০ নভেম্বর) দিন ও রাতে ইউনিয়নের দোছড়ি এলাকায় ঘটনাগুলো ঘটে। উভয়কে অজ্ঞান অবস্থায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানান, সময়মতো প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পেলে দুইজনকেই বাঁচানো সম্ভব।

প্রথম ঘটনাটি ঘটে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দোছড়ি ইউনিয়নের হাজির মাঠ গ্রামে। সেখানে সদ্য বিবাহিত রীনা আক্তার (১৯) বিষপান করেন। স্বজনরা তাকে দ্রুত নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে তিনি কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন—তা পরিবার বা প্রতিবেশীরা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।

ওই গ্রামের কয়েকজন জানান, তার বিয়ের বয়স খুব কম। পরিবারের অভ্যন্তরীণ বিষয় বা মানসিক চাপে তিনি এমনটি করতে পারেন বলে তাদের ধারণা। তবে তারা বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এর কয়েক ঘণ্টা পর রাত সোয়া ৯টার দিকে একই ইউনিয়নের লেবুছড়ির মুরুংঘোনা এলাকায় দিদারুল আলম (২৪) নামে আরেক যুবক বিষপান করেন। তিনি নুরুল আসারের ছেলে। অজ্ঞান অবস্থায় তাকে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে যান। এ ঘটনার কারণও তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাশরুরুল হক বলেন, আমরা ঘটনাগুলো সম্পর্কে জেনেছি। কী কারণে তারা এমন চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা খুঁজে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসক বলেন, দুজনই আমাদের কাছে অচেতন অবস্থায় এসেছে। সময়মতো চিকিৎসা পেয়ে এখন পর্যবেক্ষণে রয়েছে। তবে তাদের শারীরিক অবস্থা কোন দিকে যায় তা বলতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।

স্থানীয় সমাজকর্মীরা জানান, পরিবারিক অশান্তি, বেকারত্ব, সম্পর্কগত চাপ ও মানসিক অস্থিরতা এলাকায় ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সচেতনতা, পারিবারিক সংলাপ এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় প্রাপ্তি সহজ না হওয়ায় এমন ঘটনা বাড়ছে বলে তারা মনে করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

একটি মানুষের গল্প—যেখানে নেই স্বজন, নেই আশ্রয়, শুধু বেঁচে থাকার যন্ত্রণা

একই ইউনিয়নে দিন-রাতে দুটি পৃথক বিষপানের ঘটনা এলাকাজুড়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। দুজনই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছে পুলিশ।

নাইক্ষ্যংছড়িতে পৃথক ঘটনায় দুই যুব-যুবতীর বিষপান

আপডেট সময় ১১:২৭:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি : বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় পৃথক দুটি ঘটনায় এক নববধূ ও এক যুবক বিষপান করেছেন।

গতকাল সোমবার (১০ নভেম্বর) দিন ও রাতে ইউনিয়নের দোছড়ি এলাকায় ঘটনাগুলো ঘটে। উভয়কে অজ্ঞান অবস্থায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানান, সময়মতো প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পেলে দুইজনকেই বাঁচানো সম্ভব।

প্রথম ঘটনাটি ঘটে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দোছড়ি ইউনিয়নের হাজির মাঠ গ্রামে। সেখানে সদ্য বিবাহিত রীনা আক্তার (১৯) বিষপান করেন। স্বজনরা তাকে দ্রুত নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে তিনি কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন—তা পরিবার বা প্রতিবেশীরা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।

ওই গ্রামের কয়েকজন জানান, তার বিয়ের বয়স খুব কম। পরিবারের অভ্যন্তরীণ বিষয় বা মানসিক চাপে তিনি এমনটি করতে পারেন বলে তাদের ধারণা। তবে তারা বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এর কয়েক ঘণ্টা পর রাত সোয়া ৯টার দিকে একই ইউনিয়নের লেবুছড়ির মুরুংঘোনা এলাকায় দিদারুল আলম (২৪) নামে আরেক যুবক বিষপান করেন। তিনি নুরুল আসারের ছেলে। অজ্ঞান অবস্থায় তাকে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে যান। এ ঘটনার কারণও তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাশরুরুল হক বলেন, আমরা ঘটনাগুলো সম্পর্কে জেনেছি। কী কারণে তারা এমন চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা খুঁজে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসক বলেন, দুজনই আমাদের কাছে অচেতন অবস্থায় এসেছে। সময়মতো চিকিৎসা পেয়ে এখন পর্যবেক্ষণে রয়েছে। তবে তাদের শারীরিক অবস্থা কোন দিকে যায় তা বলতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।

স্থানীয় সমাজকর্মীরা জানান, পরিবারিক অশান্তি, বেকারত্ব, সম্পর্কগত চাপ ও মানসিক অস্থিরতা এলাকায় ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সচেতনতা, পারিবারিক সংলাপ এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় প্রাপ্তি সহজ না হওয়ায় এমন ঘটনা বাড়ছে বলে তারা মনে করেন।