ঢাকা ০৯:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo খুলনায় পুলিশ সদস্যদের জন্য আয়োজিত নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ভিজিট করলেন আইজিপি Logo পুলিশ লাইন্স একাডেমি ফর ক্রিয়েটিভ এডুকেশনের দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষা-২০২৫ এর ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণ Logo বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) এর সভানেত্রী কর্তৃক নওগাঁ পুনাক অফিস শুভ উদ্বোধন Logo গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা জনাব আদিলুর রহমান খানের বরিশাল আগমন Logo ইসলামিক স্টাডিস অলিম্পিয়াড অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার দিনাজপুর Logo পিরোজপুর পুলিশ লাইন্সে “তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ এর শুভ উদ্বোধন Logo জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরার পদায়ন ও বদলিজনিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত Logo মৌলভীবাজার পুলিশ লাইন্স ও রিজার্ভ অফিস পরিদর্শন করেন রেঞ্জ ডিআইজি Logo সাতক্ষীরায় জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের শুভ উদ্বোধন Logo পুলিশ সুপার ফেনী কর্তৃক সদর কোর্ট পরিদর্শন
পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণে সকলের অংশগ্রহণ জরুরি। জলাবদ্ধতা নিরসন, মৎস্যচাষ ও নগরবাসীর পরিবেশবান্ধব বিনোদন নিশ্চিত হবে।

ঢাকার ৪৪টি খাস পুকুর ও জলাশয় সংস্কার প্রকল্প উদ্বোধন

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:৪১:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫৩০ বার পড়া হয়েছে

আলী আহসান রবি : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আজ ঢাকার কেরানীগঞ্জের দড়িপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে “ঢাকা মহানগরী ও উপজেলা এলাকার ৪৪টি খাস পুকুর ও জলাশয় সংস্কার, উন্নয়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণ প্রকল্প”-এর উদ্বোধন করেন। জেলা প্রশাসন, ঢাকা কর্তৃক বাস্তবায়িত এই উদ্যোগের মাধ্যমে রাজধানী ও উপকণ্ঠের গুরুত্বপূর্ণ জলাধারসমূহ পুনর্গঠন, সংরক্ষণ এবং পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার পথে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সূচিত হলো।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় সম্পদ হিসেবে খাস পুকুর ও জলাশয় রক্ষা আমাদের দায়িত্ব। সরকারি খতিয়ান অনুযায়ী ঢাকা জেলা ও মহানগরে মোট ১১৩টি খাস পুকুর রয়েছে, যার মধ্যে ৪৪টি প্রথম পর্যায়ে সংস্কারের জন্য চিহ্নিত হয়েছে। এসব জলাশয়ে সীমানা নির্ধারণ, অবৈধ দখল উচ্ছেদ, সীমানা পিলার স্থাপন, পুনঃখনন, পাড়বাঁধাই, দূষণমুক্তকরণ, পানি প্রতিস্থাপন, বাঁধানো ঘাট, ওয়াকওয়ে, বেঞ্চ স্থাপন এবং বৃক্ষরোপণের কাজ করা হবে। এতে জলাবদ্ধতা নিরসন, বৃষ্টির পানি ধারণ, মৎস্যচাষ, কৃষি কার্যক্রম, বাফার জোন উন্নয়ন এবং নগরবাসীর জন্য পরিবেশবান্ধব বিনোদনকেন্দ্র তৈরির সুযোগ সৃষ্টি হবে।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ অপরিহার্য। ঢাকার পুকুরগুলো দখল, ভরাট ও দূষণের চাপের মধ্যে রয়েছে। জেলা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই—বাকি জলাশয়গুলোর তালিকা প্রণয়ন করে ধাপে ধাপে পুনর্গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি। আগামী প্রজন্মের টেকসই পরিবেশ নিশ্চিতেই এই কাজ অব্যাহত রাখতে হবে।

পরিবেশ উপদেষ্টা আরও বলেন, মৎস্যজীবী সম্প্রদায়, স্থানীয় জনগণ এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সম্পৃক্ত করেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে, যা পরিবেশ সংরক্ষণের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে। নিষিদ্ধ পলিথিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পলিথিন দূষণ পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর হুমকি। সরকারের কঠোর নজরদারি ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির ফলে সুপারশপগুলো এখন পলিথিন শপিং ব্যাগ ব্যবহার কমিয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় নাগরিক দায়িত্ববোধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, ঢাকার জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ, পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান এবং কেরানীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিনাত ফৌজিয়া।

তিনি সংশ্লিষ্টদের দ্রুত কাজ শুরু করার নির্দেশনা প্রদান করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকার জলাধারসমূহ স্বাভাবিক ধারণক্ষমতা ফিরে পাবে এবং জলবায়ু সহনশীল নগর ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

খুলনায় পুলিশ সদস্যদের জন্য আয়োজিত নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ভিজিট করলেন আইজিপি

পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণে সকলের অংশগ্রহণ জরুরি। জলাবদ্ধতা নিরসন, মৎস্যচাষ ও নগরবাসীর পরিবেশবান্ধব বিনোদন নিশ্চিত হবে।

ঢাকার ৪৪টি খাস পুকুর ও জলাশয় সংস্কার প্রকল্প উদ্বোধন

আপডেট সময় ১২:৪১:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

আলী আহসান রবি : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আজ ঢাকার কেরানীগঞ্জের দড়িপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে “ঢাকা মহানগরী ও উপজেলা এলাকার ৪৪টি খাস পুকুর ও জলাশয় সংস্কার, উন্নয়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণ প্রকল্প”-এর উদ্বোধন করেন। জেলা প্রশাসন, ঢাকা কর্তৃক বাস্তবায়িত এই উদ্যোগের মাধ্যমে রাজধানী ও উপকণ্ঠের গুরুত্বপূর্ণ জলাধারসমূহ পুনর্গঠন, সংরক্ষণ এবং পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার পথে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সূচিত হলো।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় সম্পদ হিসেবে খাস পুকুর ও জলাশয় রক্ষা আমাদের দায়িত্ব। সরকারি খতিয়ান অনুযায়ী ঢাকা জেলা ও মহানগরে মোট ১১৩টি খাস পুকুর রয়েছে, যার মধ্যে ৪৪টি প্রথম পর্যায়ে সংস্কারের জন্য চিহ্নিত হয়েছে। এসব জলাশয়ে সীমানা নির্ধারণ, অবৈধ দখল উচ্ছেদ, সীমানা পিলার স্থাপন, পুনঃখনন, পাড়বাঁধাই, দূষণমুক্তকরণ, পানি প্রতিস্থাপন, বাঁধানো ঘাট, ওয়াকওয়ে, বেঞ্চ স্থাপন এবং বৃক্ষরোপণের কাজ করা হবে। এতে জলাবদ্ধতা নিরসন, বৃষ্টির পানি ধারণ, মৎস্যচাষ, কৃষি কার্যক্রম, বাফার জোন উন্নয়ন এবং নগরবাসীর জন্য পরিবেশবান্ধব বিনোদনকেন্দ্র তৈরির সুযোগ সৃষ্টি হবে।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ অপরিহার্য। ঢাকার পুকুরগুলো দখল, ভরাট ও দূষণের চাপের মধ্যে রয়েছে। জেলা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই—বাকি জলাশয়গুলোর তালিকা প্রণয়ন করে ধাপে ধাপে পুনর্গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি। আগামী প্রজন্মের টেকসই পরিবেশ নিশ্চিতেই এই কাজ অব্যাহত রাখতে হবে।

পরিবেশ উপদেষ্টা আরও বলেন, মৎস্যজীবী সম্প্রদায়, স্থানীয় জনগণ এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সম্পৃক্ত করেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে, যা পরিবেশ সংরক্ষণের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে। নিষিদ্ধ পলিথিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পলিথিন দূষণ পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর হুমকি। সরকারের কঠোর নজরদারি ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির ফলে সুপারশপগুলো এখন পলিথিন শপিং ব্যাগ ব্যবহার কমিয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় নাগরিক দায়িত্ববোধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, ঢাকার জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ, পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান এবং কেরানীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিনাত ফৌজিয়া।

তিনি সংশ্লিষ্টদের দ্রুত কাজ শুরু করার নির্দেশনা প্রদান করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকার জলাধারসমূহ স্বাভাবিক ধারণক্ষমতা ফিরে পাবে এবং জলবায়ু সহনশীল নগর ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।