ঢাকা ০৭:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo অটোমেটেড মিউটেশন সিস্টেম ২.১ ও ‘ভূমি’ অ্যাপ উদ্বোধন করলেন ভূমি উপদেষ্টা Logo ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ফ্রান্সকে সহযোগিতার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার Logo আলেম-ওলামাদের মেহনত ব্যর্থ হয়নি: ধর্ম উপদেষ্টা Logo ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার অফিসের প্রধানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ Logo সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে আতঙ্ক নয়, সচেতন হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের Logo ভূমিকম্প ঝুঁকি হ্রাসে প্রস্তুতি ও করণীয় বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত Logo দেশের পথশিশুদের ওপর চলমান যৌন শোষণ ও সুরক্ষা ঘাটতির নতুন প্রমাণ উন্মোচিত Logo কৃষিতে ব্যবহৃত কীটনাশক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদে হুমকি তৈরি করছে — মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা Logo দিন-রাতে ড্রেজারের বালু উত্তোলন, শাল্লায় নদীভাঙনের হুমকিতে গ্রামবাসী Logo নাটোরে ট্রাফিক সেবা সপ্তাহ ২০২৫ উদ্বোধন, ট্রাফিক আইন মেনে চলার আহ্বান
মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, পাসপোর্ট আটক, নিয়োগ ফি ও চাকরির শর্তাবলির অসঙ্গতি নিয়ে শ্রমিকরা ঝুঁকিতে, বিশেষজ্ঞরা দ্রুত পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন।

মালয়েশিয়ায় প্রবাসী শ্রমিকদের নির্যাতন, শোষণ, প্রতারণা,জাতিসংঘের বিশেষ উদ্বেগ।

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:০০:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫৩১ বার পড়া হয়েছে

জেনেভায় ২১ নভেম্বর প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা বলেন, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী শ্রমিকদের শোষণ ‌‘উদ্বেগজনকভাবে অব্যাহত’ রয়েছে। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম, পাসপোর্ট আটকে রাখা, চাকরির শর্তে অসঙ্গতি। সব মিলিয়ে বহু শ্রমিক গভীর ঋণ-দাসত্বের ফাঁদে পড়ে যাচ্ছেন।

মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীদের ওপর অব্যাহত শোষণ, প্রতারণা ও গভীরতর ঋণ দাসত্বে’র বিষয়টি নিয়ে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ নিযুক্ত বিশেষজ্ঞরা।

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা জানান, বাংলাদেশ ওভারসিজ অ্যামপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস (বোয়েস) মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হাজারো শ্রমিক সরকারি ফি-এর পাঁচ গুণের বেশি অর্থ পরিশোধ করেছেন। কারো কারো মালয়েশিয়া যাত্রা থমকে গেছে, অন্যদিকে যারা পৌঁছেছেন, তারা শোষণ ও অনিশ্চয়তার ঝুঁকিতে রয়েছেন।

এছাড়াও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের শোষণ উদ্বেগজনকভাবে চলমান। বহু শ্রমিক মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম, পাসপোর্ট আটকে রাখা এবং চাকরির শর্তাবলির অসঙ্গতির শিকার হয়ে বিশাল ঋণের ভারে জর্জরিত হচ্ছেন।

অনেকেই অভিযোগ করেছেন, জোরপূর্বক বাড়তি অর্থ আদায়, সম্মতি ছাড়া অন্য কাজে পাঠানো এবং প্রতিশ্রুত চাকরির সাথে বাস্তবতার বড় ধরনের অসামঞ্জস্যের কথা।

বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, গুটিকয়েক রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি দুর্নীতি, স্বচ্ছতার অভাব এবং নিয়মতান্ত্রিক শোষণের মাধ্যমে একটি বন্ধ সিন্ডিকেট হিসেবে কাজ করছে। অনেক কর্মীকে দেশ ছাড়ার আগে একটি মিথ্যা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়েছিল যে তারা শুধুমাত্র সরকারি ফি পরিশোধ করেছেন।

অভিবাসী শ্রমিকদের সুরক্ষার বিষয়টি সামনে এনে জাতিসংঘ সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট দুই দেশের সরকারকে বেশ কিছু কঠোর ও জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।

নিয়োগ অ্যাজেন্সিগুলোর উপর কঠোর নজরদারি, কেন্দ্রীভূত চাকরি-পোর্টাল চালু, শ্রমিকদের কাছ থেকে নিয়োগ ফি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধকরণ এবং শোষণমূলক নেটওয়ার্ক ধ্বংসে কার্যকর দ্বিপাক্ষিক পদক্ষেপ এখন সময়ের দাবি

জনপ্রিয় সংবাদ

অটোমেটেড মিউটেশন সিস্টেম ২.১ ও ‘ভূমি’ অ্যাপ উদ্বোধন করলেন ভূমি উপদেষ্টা

মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, পাসপোর্ট আটক, নিয়োগ ফি ও চাকরির শর্তাবলির অসঙ্গতি নিয়ে শ্রমিকরা ঝুঁকিতে, বিশেষজ্ঞরা দ্রুত পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন।

মালয়েশিয়ায় প্রবাসী শ্রমিকদের নির্যাতন, শোষণ, প্রতারণা,জাতিসংঘের বিশেষ উদ্বেগ।

আপডেট সময় ০৪:০০:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫

জেনেভায় ২১ নভেম্বর প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা বলেন, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী শ্রমিকদের শোষণ ‌‘উদ্বেগজনকভাবে অব্যাহত’ রয়েছে। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম, পাসপোর্ট আটকে রাখা, চাকরির শর্তে অসঙ্গতি। সব মিলিয়ে বহু শ্রমিক গভীর ঋণ-দাসত্বের ফাঁদে পড়ে যাচ্ছেন।

মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীদের ওপর অব্যাহত শোষণ, প্রতারণা ও গভীরতর ঋণ দাসত্বে’র বিষয়টি নিয়ে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ নিযুক্ত বিশেষজ্ঞরা।

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা জানান, বাংলাদেশ ওভারসিজ অ্যামপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস (বোয়েস) মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হাজারো শ্রমিক সরকারি ফি-এর পাঁচ গুণের বেশি অর্থ পরিশোধ করেছেন। কারো কারো মালয়েশিয়া যাত্রা থমকে গেছে, অন্যদিকে যারা পৌঁছেছেন, তারা শোষণ ও অনিশ্চয়তার ঝুঁকিতে রয়েছেন।

এছাড়াও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের শোষণ উদ্বেগজনকভাবে চলমান। বহু শ্রমিক মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম, পাসপোর্ট আটকে রাখা এবং চাকরির শর্তাবলির অসঙ্গতির শিকার হয়ে বিশাল ঋণের ভারে জর্জরিত হচ্ছেন।

অনেকেই অভিযোগ করেছেন, জোরপূর্বক বাড়তি অর্থ আদায়, সম্মতি ছাড়া অন্য কাজে পাঠানো এবং প্রতিশ্রুত চাকরির সাথে বাস্তবতার বড় ধরনের অসামঞ্জস্যের কথা।

বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, গুটিকয়েক রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি দুর্নীতি, স্বচ্ছতার অভাব এবং নিয়মতান্ত্রিক শোষণের মাধ্যমে একটি বন্ধ সিন্ডিকেট হিসেবে কাজ করছে। অনেক কর্মীকে দেশ ছাড়ার আগে একটি মিথ্যা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়েছিল যে তারা শুধুমাত্র সরকারি ফি পরিশোধ করেছেন।

অভিবাসী শ্রমিকদের সুরক্ষার বিষয়টি সামনে এনে জাতিসংঘ সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট দুই দেশের সরকারকে বেশ কিছু কঠোর ও জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।

নিয়োগ অ্যাজেন্সিগুলোর উপর কঠোর নজরদারি, কেন্দ্রীভূত চাকরি-পোর্টাল চালু, শ্রমিকদের কাছ থেকে নিয়োগ ফি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধকরণ এবং শোষণমূলক নেটওয়ার্ক ধ্বংসে কার্যকর দ্বিপাক্ষিক পদক্ষেপ এখন সময়ের দাবি