ঢাকা ০১:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈলে বিএম কলেজে নবনির্মিত প্রশাসনিক ভবনের উদ্বোধন ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত Logo রাণীশংকৈলের পদমপুর মিলপাড়া রাস্তায় বেহাল অবস্থা, দুর্ভোগে এলাকাবাসী Logo সাড়ে সাত কোটি শ্রমিকের ভ্যালু চেইনের ভালনারেবল শ্রমিকদের সোশ্যাল প্রোটেকশন নিশ্চিত করা হবে।—-সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান Logo শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষের চারা বিতরণ করা হবে।– উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান Logo সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সাবেক সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের আরও আট জনকে গ্রেফতার Logo নওগাঁ ডিসি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে মঙ্গলবার Logo কমনওয়েলথ চার্টার কর্মশালার উদ্বোধন করলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ Logo স্কাউটিংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে ভবিষ্যতের পৃথিবী রচনায় এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার Logo পশু খাদ্যকে কোনোভাবেই মৎস্য খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না— মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা Logo ২৫ জুন, বুধবার থেকে শুরু পরিবেশ ও বৃক্ষমেলা, চলবে সকাল ৯টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত — পরিবেশ উপদেষ্টা

শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষের চারা বিতরণ করা হবে।– উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:৪১:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
  • ৫২৭ বার পড়া হয়েছে

আলী আহসান রবি: তারিখ: ২৩ জুন, ২০২৫ খ্রি., বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার দেশের পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা এবং বনজ সম্পদের উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের বাস উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিতকরণে নিরলসভাবে কাজ করছে। এসব কাজে জনগণের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০২৫ এর আয়োজন করা হয়েছে। ‘প্লাস্টিক দূষণ আর নয়, বন্ধ করার এখনি সময়’ শ্লোগানে এবারের বিশ্ব পরিবেশ দিবস এবং ‘পরিকল্পিত বনায়ন করি, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি’ প্রতিপাদ্যে এবারের জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান পালন করা হচ্ছে।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ২৫ জুন সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠিতব্য উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে সদয় সম্মতি আপন করেছেন। অনুষ্ঠানে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে জাতীয় পুরস্কার ২০২৫, জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২৪, বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কার ২০২৪ এবং সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের মাঝে লভ্যাংশের চেক বিতরণ করা হবে। শেরেবাংলা নগরে অনুষ্ঠিতব্য পরিবেশ মেলা চলবে ২৫ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত এবং বৃক্ষমেলা চলবে ২৫ জুন থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত ২০২৫ পর্যন্ত। প্রতিদিন মেলা চলবে সকাল ০৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৯ টা পর্যন্ত।

বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ অন্যান্য গণমাধ্যমে পরিবেশ দিবসের তাৎপর্যভিত্তিক অনুষ্ঠানমালার আয়োজিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর হতে স্মরণিকা ও বুকলেট প্রকাশ করা হবে। দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় এবং ঢাকা মহানগরীর ১০০টি এবং সকল জেলায় ২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন করা হবে। পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে শিশু চিত্রাঙ্কন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিতর্ক ও স্লোগান প্রতিযোগিতা, পরিবেশ বিষয়ক সেমিনার এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের জন্য সচেতনতামূলক সেমিনার আয়োজন করা হচ্ছে।

প্রতিবছরের ন্যায় এবারও জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বৃক্ষমেলার আয়োজনে করা হবে। এ উপলক্ষ্যে শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষের চারা বিতরণ করা হবে। ঢাকা মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে ব্যানার স্থাপন এবং মোবাইল ফোন অপারেটরদের মাধ্যমে খুদে বার্তা প্রেরণ করা হবে।

প্লাস্টিক এখন খাদ্যচক্রে প্রবেশ করে সামুদ্রিক মাছ, অন্যান্য জলজ প্রাণি, গবাদি পশু ও মানুষের শরীরে মাইক্রোপ্লাস্টিক পৌঁছে দিচ্ছে, যার ফলে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন কঠিন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। এ প্রেক্ষাপটে সরকার প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে বহুবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগ এবং সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার ও বিপণন বন্ধে জোরালো পদক্ষেপ নিয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগরীর ৮টি এলাকা ও ১২ জেলার ৪০টি উপজেলা এক্সপোজড কোন্ট হিসেবে চিহ্নিত করে তিন বছরের জন্য বিশেষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, যার আওতায় কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যকর করা হয়েছে এবং প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এক্সটেন্ডেড প্রডিউসার রেস্পন্সিবিলিটি-এর খসড়া তৈরি হয়েছে।

১৭টি পণ্যকে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে এবং ১ জুন ২০২৫ থেকে স্ট্রা স্টারার ও কটন বাডের উৎপাদন, আমদানি ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে চেইন শপিং স্টোরে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার বন্ধ হয়েছে অন্যান্য মার্কেট ও শপিংমলে তা বাস্তবায়নের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দেশজুড়ে বাজার মনিটরিং, জনসচেতনতামূলক এবানানা জিন-আপ ক্যাম্পেইন পরিচালিত হচ্ছে। পাশাপাৰি অবৈধ পলিথিন এর বিরুদ্ধে আইনানুগ অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্যে, ৩ নভেম্বর ২০২৪ হতে এ পর্যন্ত সমগ্র বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন বিক্রয়, সরবধন্য ও বাজারজাত করার দায়ে ৪৩৪টি মোবাইল কোর্ট অভিয়ান পরিচালনা করে ৮১৫টি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ৬৩ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায়সহ আনুমানিক ২ লক্ষ ৩৩ হাজার কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়েছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বনভূমি অবৈধ দখল ও অননুমোদিত বরাদ্দের বিরদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে এবং একাধিক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর ফলে আগস্ট ২০২৪ থেকে এ পর্যন্ত ১.৭১৭ একর বনভূমি অবৈধ দখল থেকে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। বনের জমিতে গণহারে সরকারি প্রকল্প অনুমোদনের পূর্বের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে। একটি বেসরকারি ক্যাডেট কলেজের নামে বরাদ্দকৃত কক্সবাজারের ১৫৫ দশমিক ৭০ একর বনভূমি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি লোকপ্রশাসন একাডেমির জন্য নির্ধারিত ৭০০ একর জমি, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের টেকনিক্যাল সেন্টারের জন্য বরাদ্দকৃত ২০ একর জমি এবং বেজাকে বরাদ্দ দেওয়া সোনাদিয়ার ৯ হাজার ৪৬৭ একর জমির বরাদ্দ বাতিল করে বন বিভাগের আওতায় ফেরত আনা হয়েছে। এছাড়া, চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে বেজাকে দেওয়া ৪ হাজার ১০৪ একর জমি পুনরুদ্ধারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

গণসচেতনতা বৃদ্ধি ও জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণের টেকসই সমাধানের প্রচেষ্টা চলছে। চট্টগ্রামে মানুষ-হাতি দ্বন্দ্ব নিরসনে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। পোষা হাতি ব্যবহার করে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। বন্যপ্রাণীর আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত ৪৯৪ জন ব্যক্তিকে মোট ২ কোটির বেশি টাকার ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়েছে। পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত জাতীয় উদ্যান, ইকোপার্ক ও উদ্ভিদ উদ্যানে প্লাস্টিক ব্যবহার এবং বনভোজন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পূর্বাচলে ১৪৪ একর এলাকাকে জীববৈচিত্রা অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে মৌলভীবাজারের লাঠিটিলায় প্রস্তাবিত সাফারি পার্ক প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। বনসীমা নির্ধারণ, অবৈধ দখল উচ্ছেদ এবং প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারি কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।

দেশের বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, নদীদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার বিভিন্নমুখী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। সারা দেশে ০২ জানুয়ারী ২০২৫ইং হতে ১৯ জুন ২০২৫ খ্রিঃ তারিখ পর্যন্ত যানবাহন কর্তৃক মানমাত্রাতিক্ত কালো ধোঁয়া নির্গমন, বায়ুদূষণকারী অবৈধ ইটভাটা, স্টিল মিল, শব্দদূষণ, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য নির্গমন, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সীসা/ব্যাটারী রি-সাইক্লিং কারখানা, জলাশয় ভরাট, টায়ার পাইরোলাইসিস, চারকোল কারখানা এবং খোলা অবস্থায় নির্মানসামগ্রী রেখে বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে মোট ১ হাজার ৬৩টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে ২ হাজার ৪৯৯টি মামলার মাধ্যমে ২৫ কোটি ৩৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। একইসাথে ৪৮১ টি ইটভাটার চিমনী ভাঙ্গাসহ সম্পূর্ণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়, ২১৬ টি ইটভাটা বন্ধের জন্য কঠোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

নদী দখল, দূষণ ও ভরাট রোধে খাল-নদী উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। পরিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) বাস্তবায়নে ইসিএ কমিটিকে সক্রিয় করা হয়েছে। দেশের প্রথম দুটি জলাভূমি নির্ভর প্রাণী অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়েছে। বন ও বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত নীতিমালাগুলোকে যুগোপযোগী করার জন্য সংশোধন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মধুপুরে ৭৫০ একর শালবন পুনরুদ্ধার করা হয়েছে এবং আগামী তিন বছরের মধ্যে আরও ৬ হাজার ৬১০ একর এলাকায় শাল বৃক্ষ রোপণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সংরক্ষিত এলাকার বাইরেও বিপন্ন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণে তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ইউক্যালিপটাস ও একাশিয়া প্রজাতির বৃক্ষ রোপণ ও উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে পর্যটকদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল দ্বীপবাসীর জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

দেশের বন, জীববৈচিত্র্য ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য ব্যাপকহারে বৃক্ষরোপণ করা হচ্ছে। আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ দেশের বৃক্ষাচ্ছাদন মোট ভূমির ২২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হতে ২৫ শতাংশে এবং বনাচ্ছাদনের পরিমাণ ১৪ দশমিক ১ শতাংশ হতে ১৬ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এলক্ষ্যে সরকার বনায়ন ও বন সংরক্ষণ, অবক্ষয়িত বন পুনরুদ্ধার এবং টেকসই বন ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। বন সম্প্রসারণ এবং বন উজাড় ও অবক্ষয় রোধে ১৯৯৫-৯৬ হতে ২০২৩-২৪ আর্থিক সাল পর্যন্ত মোট ৪ লক্ষ ২৬ হাজার ৮৪২ হেক্টর ব্লক এবং ৭২ হাজার ৫৮১ সিডলিং কি.মি. স্ট্রিপ বাগান সৃজন এবং ২০ কোটি ৬২ লক্ষ চারা বিতরণ ও রোপণ করা হয়েছে। ২০২৩-২৪ সাল পর্যন্ত সামাজিক বনায়নে সম্পৃক্ত ২ লক্ষ ৫০ হাজার ৯২৮ জন সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীর মাঝে লভ্যাংশ হিসেবে ৫০৫ কোটি ৩৫ লক্ষ ৭ হাজার ৭২৩ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

বর্তমানে সংকটাপন্ন বিভিন্ন বন্যপ্রাণী যেমন শিকারী পাখি ও পরিযায়ী পাখি সংরক্ষণ, শকুন সংরক্ষণ, হাতি সংরক্ষণ, হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছ সংরক্ষণ, ঘড়িয়াল ও ডলফিন সংরক্ষণ ইত্যাদি কার্যক্রম চলমান আছে। বাংলাদেশের বনজ বৃক্ষ ও উদ্ভিদরাজীর লাল তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। রক্ষিত এলাকায় আগ্রাসী উদ্ভিদ চিহ্নিত করে তার সংরক্ষণ কৌশল প্রণয়ন করা হয়েছে। বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে বিদ্যমান আইন ও বিধিমালা হালনাগাদ করা হচ্ছে।

দেশের পরিবেশ রক্ষা, বৃক্ষরোপণ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের কাজে সরকার যেমন সচেষ্ট, তেমনি এ উদ্যোগে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণও জরুরি। বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ২০২৫-এর প্রতিপাদ্য ও বিভিন্ন কর্মসূচি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।

আগামী ২৫ জুন ২০২৫, বুধবার থেকে শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের পাশের মাঠে শুরু হতে যাচ্ছে পরিবেশ মেলা ও বৃক্ষমেলা। এ আয়োজনে আপনাদের অংশগ্রহণ ও উপস্থিতির জন্য আন্তরিক আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈলে বিএম কলেজে নবনির্মিত প্রশাসনিক ভবনের উদ্বোধন ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষের চারা বিতরণ করা হবে।– উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান

আপডেট সময় ০৫:৪১:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

আলী আহসান রবি: তারিখ: ২৩ জুন, ২০২৫ খ্রি., বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার দেশের পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা এবং বনজ সম্পদের উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের বাস উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিতকরণে নিরলসভাবে কাজ করছে। এসব কাজে জনগণের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০২৫ এর আয়োজন করা হয়েছে। ‘প্লাস্টিক দূষণ আর নয়, বন্ধ করার এখনি সময়’ শ্লোগানে এবারের বিশ্ব পরিবেশ দিবস এবং ‘পরিকল্পিত বনায়ন করি, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি’ প্রতিপাদ্যে এবারের জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান পালন করা হচ্ছে।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ২৫ জুন সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠিতব্য উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে সদয় সম্মতি আপন করেছেন। অনুষ্ঠানে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে জাতীয় পুরস্কার ২০২৫, জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২৪, বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কার ২০২৪ এবং সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের মাঝে লভ্যাংশের চেক বিতরণ করা হবে। শেরেবাংলা নগরে অনুষ্ঠিতব্য পরিবেশ মেলা চলবে ২৫ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত এবং বৃক্ষমেলা চলবে ২৫ জুন থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত ২০২৫ পর্যন্ত। প্রতিদিন মেলা চলবে সকাল ০৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৯ টা পর্যন্ত।

বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ অন্যান্য গণমাধ্যমে পরিবেশ দিবসের তাৎপর্যভিত্তিক অনুষ্ঠানমালার আয়োজিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর হতে স্মরণিকা ও বুকলেট প্রকাশ করা হবে। দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় এবং ঢাকা মহানগরীর ১০০টি এবং সকল জেলায় ২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন করা হবে। পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে শিশু চিত্রাঙ্কন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিতর্ক ও স্লোগান প্রতিযোগিতা, পরিবেশ বিষয়ক সেমিনার এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের জন্য সচেতনতামূলক সেমিনার আয়োজন করা হচ্ছে।

প্রতিবছরের ন্যায় এবারও জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বৃক্ষমেলার আয়োজনে করা হবে। এ উপলক্ষ্যে শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষের চারা বিতরণ করা হবে। ঢাকা মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে ব্যানার স্থাপন এবং মোবাইল ফোন অপারেটরদের মাধ্যমে খুদে বার্তা প্রেরণ করা হবে।

প্লাস্টিক এখন খাদ্যচক্রে প্রবেশ করে সামুদ্রিক মাছ, অন্যান্য জলজ প্রাণি, গবাদি পশু ও মানুষের শরীরে মাইক্রোপ্লাস্টিক পৌঁছে দিচ্ছে, যার ফলে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন কঠিন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। এ প্রেক্ষাপটে সরকার প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে বহুবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগ এবং সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার ও বিপণন বন্ধে জোরালো পদক্ষেপ নিয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগরীর ৮টি এলাকা ও ১২ জেলার ৪০টি উপজেলা এক্সপোজড কোন্ট হিসেবে চিহ্নিত করে তিন বছরের জন্য বিশেষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, যার আওতায় কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যকর করা হয়েছে এবং প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এক্সটেন্ডেড প্রডিউসার রেস্পন্সিবিলিটি-এর খসড়া তৈরি হয়েছে।

১৭টি পণ্যকে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে এবং ১ জুন ২০২৫ থেকে স্ট্রা স্টারার ও কটন বাডের উৎপাদন, আমদানি ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে চেইন শপিং স্টোরে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার বন্ধ হয়েছে অন্যান্য মার্কেট ও শপিংমলে তা বাস্তবায়নের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দেশজুড়ে বাজার মনিটরিং, জনসচেতনতামূলক এবানানা জিন-আপ ক্যাম্পেইন পরিচালিত হচ্ছে। পাশাপাৰি অবৈধ পলিথিন এর বিরুদ্ধে আইনানুগ অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্যে, ৩ নভেম্বর ২০২৪ হতে এ পর্যন্ত সমগ্র বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন বিক্রয়, সরবধন্য ও বাজারজাত করার দায়ে ৪৩৪টি মোবাইল কোর্ট অভিয়ান পরিচালনা করে ৮১৫টি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ৬৩ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায়সহ আনুমানিক ২ লক্ষ ৩৩ হাজার কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়েছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বনভূমি অবৈধ দখল ও অননুমোদিত বরাদ্দের বিরদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে এবং একাধিক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর ফলে আগস্ট ২০২৪ থেকে এ পর্যন্ত ১.৭১৭ একর বনভূমি অবৈধ দখল থেকে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। বনের জমিতে গণহারে সরকারি প্রকল্প অনুমোদনের পূর্বের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে। একটি বেসরকারি ক্যাডেট কলেজের নামে বরাদ্দকৃত কক্সবাজারের ১৫৫ দশমিক ৭০ একর বনভূমি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি লোকপ্রশাসন একাডেমির জন্য নির্ধারিত ৭০০ একর জমি, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের টেকনিক্যাল সেন্টারের জন্য বরাদ্দকৃত ২০ একর জমি এবং বেজাকে বরাদ্দ দেওয়া সোনাদিয়ার ৯ হাজার ৪৬৭ একর জমির বরাদ্দ বাতিল করে বন বিভাগের আওতায় ফেরত আনা হয়েছে। এছাড়া, চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে বেজাকে দেওয়া ৪ হাজার ১০৪ একর জমি পুনরুদ্ধারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

গণসচেতনতা বৃদ্ধি ও জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণের টেকসই সমাধানের প্রচেষ্টা চলছে। চট্টগ্রামে মানুষ-হাতি দ্বন্দ্ব নিরসনে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। পোষা হাতি ব্যবহার করে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। বন্যপ্রাণীর আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত ৪৯৪ জন ব্যক্তিকে মোট ২ কোটির বেশি টাকার ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়েছে। পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত জাতীয় উদ্যান, ইকোপার্ক ও উদ্ভিদ উদ্যানে প্লাস্টিক ব্যবহার এবং বনভোজন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পূর্বাচলে ১৪৪ একর এলাকাকে জীববৈচিত্রা অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে মৌলভীবাজারের লাঠিটিলায় প্রস্তাবিত সাফারি পার্ক প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। বনসীমা নির্ধারণ, অবৈধ দখল উচ্ছেদ এবং প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারি কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।

দেশের বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, নদীদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার বিভিন্নমুখী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। সারা দেশে ০২ জানুয়ারী ২০২৫ইং হতে ১৯ জুন ২০২৫ খ্রিঃ তারিখ পর্যন্ত যানবাহন কর্তৃক মানমাত্রাতিক্ত কালো ধোঁয়া নির্গমন, বায়ুদূষণকারী অবৈধ ইটভাটা, স্টিল মিল, শব্দদূষণ, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য নির্গমন, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সীসা/ব্যাটারী রি-সাইক্লিং কারখানা, জলাশয় ভরাট, টায়ার পাইরোলাইসিস, চারকোল কারখানা এবং খোলা অবস্থায় নির্মানসামগ্রী রেখে বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে মোট ১ হাজার ৬৩টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে ২ হাজার ৪৯৯টি মামলার মাধ্যমে ২৫ কোটি ৩৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। একইসাথে ৪৮১ টি ইটভাটার চিমনী ভাঙ্গাসহ সম্পূর্ণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়, ২১৬ টি ইটভাটা বন্ধের জন্য কঠোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

নদী দখল, দূষণ ও ভরাট রোধে খাল-নদী উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। পরিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) বাস্তবায়নে ইসিএ কমিটিকে সক্রিয় করা হয়েছে। দেশের প্রথম দুটি জলাভূমি নির্ভর প্রাণী অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়েছে। বন ও বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত নীতিমালাগুলোকে যুগোপযোগী করার জন্য সংশোধন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মধুপুরে ৭৫০ একর শালবন পুনরুদ্ধার করা হয়েছে এবং আগামী তিন বছরের মধ্যে আরও ৬ হাজার ৬১০ একর এলাকায় শাল বৃক্ষ রোপণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সংরক্ষিত এলাকার বাইরেও বিপন্ন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণে তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ইউক্যালিপটাস ও একাশিয়া প্রজাতির বৃক্ষ রোপণ ও উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে পর্যটকদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল দ্বীপবাসীর জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

দেশের বন, জীববৈচিত্র্য ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য ব্যাপকহারে বৃক্ষরোপণ করা হচ্ছে। আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ দেশের বৃক্ষাচ্ছাদন মোট ভূমির ২২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হতে ২৫ শতাংশে এবং বনাচ্ছাদনের পরিমাণ ১৪ দশমিক ১ শতাংশ হতে ১৬ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এলক্ষ্যে সরকার বনায়ন ও বন সংরক্ষণ, অবক্ষয়িত বন পুনরুদ্ধার এবং টেকসই বন ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। বন সম্প্রসারণ এবং বন উজাড় ও অবক্ষয় রোধে ১৯৯৫-৯৬ হতে ২০২৩-২৪ আর্থিক সাল পর্যন্ত মোট ৪ লক্ষ ২৬ হাজার ৮৪২ হেক্টর ব্লক এবং ৭২ হাজার ৫৮১ সিডলিং কি.মি. স্ট্রিপ বাগান সৃজন এবং ২০ কোটি ৬২ লক্ষ চারা বিতরণ ও রোপণ করা হয়েছে। ২০২৩-২৪ সাল পর্যন্ত সামাজিক বনায়নে সম্পৃক্ত ২ লক্ষ ৫০ হাজার ৯২৮ জন সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীর মাঝে লভ্যাংশ হিসেবে ৫০৫ কোটি ৩৫ লক্ষ ৭ হাজার ৭২৩ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

বর্তমানে সংকটাপন্ন বিভিন্ন বন্যপ্রাণী যেমন শিকারী পাখি ও পরিযায়ী পাখি সংরক্ষণ, শকুন সংরক্ষণ, হাতি সংরক্ষণ, হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছ সংরক্ষণ, ঘড়িয়াল ও ডলফিন সংরক্ষণ ইত্যাদি কার্যক্রম চলমান আছে। বাংলাদেশের বনজ বৃক্ষ ও উদ্ভিদরাজীর লাল তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। রক্ষিত এলাকায় আগ্রাসী উদ্ভিদ চিহ্নিত করে তার সংরক্ষণ কৌশল প্রণয়ন করা হয়েছে। বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে বিদ্যমান আইন ও বিধিমালা হালনাগাদ করা হচ্ছে।

দেশের পরিবেশ রক্ষা, বৃক্ষরোপণ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের কাজে সরকার যেমন সচেষ্ট, তেমনি এ উদ্যোগে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণও জরুরি। বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ২০২৫-এর প্রতিপাদ্য ও বিভিন্ন কর্মসূচি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।

আগামী ২৫ জুন ২০২৫, বুধবার থেকে শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের পাশের মাঠে শুরু হতে যাচ্ছে পরিবেশ মেলা ও বৃক্ষমেলা। এ আয়োজনে আপনাদের অংশগ্রহণ ও উপস্থিতির জন্য আন্তরিক আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।