ঢাকা ১২:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কালিগঞ্জে আইন লঙ্ঘন করে প্রকাশ্যে অবৈধভাবে ইট পোড়ানোর অভিযোগ Logo সরকারি অর্থে হজে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মালি, চালক গানম্যান ও পিয়ন; নির্দেশনা না মেনে সফরসঙ্গী উপদেষ্টার স্ত্রী ও দুই বোন” এ সংবাদের বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় Logo ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গাড়ি,দেশীয় অস্ত্র ও খেলনা পিস্তলসহ ডাকাত দলের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিবি Logo শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্যসহ একজনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি Logo প্রাণিসম্পদের সমস্যা লাঘবে আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোকে শক্তিশালী করা হবে- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা Logo অবৈধ পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: সিলেটে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান Logo র‍্যাবের পোশাক পরে কোটি টাকা ছিনতাই Logo পরিবেশবান্ধব পর্যটন উন্নয়নে জাফলংসহ সিলেটে মহাপরিকল্পনা: বিকল্প কর্মসংস্থানে গুরুত্ব দেবে সরকার।- পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান Logo খানজাহান আলী (রঃ) মাজার জিয়ারত শেষে কবির নেওয়াজ কে ফুলেল শুভেচ্ছা Logo নওগাঁয় ইউনাইটেড প্রেস ক্লাবের ঈদ পুনর্মিলনী ও মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

ভারতের সাথে সমঝোতা স্মারকের সকল ধারা না পড়েই বিএনপি অপপ্রচার করছে -তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:২৭:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪
  • ৬৪৪ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট : ভারতের সাথে বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারকের সকল ধারা না পড়েই এবং না বুঝেই বিএনপি অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করছে এবং ধারাগুলো খন্ডিতভাবে তুলে ধরে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

আজ সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক বক্তব্যের বিষয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সমঝোতা স্মারক কোনভাবেই সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি নয় বরং এটি উভয় দেশের জন্যই লাভজনক। বিএনপি অপপ্রচার করছে যে, বাংলার বুক চিরে ভারতের ট্রেন চললে বাংলাদেশের জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হবে। এটি মোটেই সঠিক নয়। সমঝোতা স্মারকের ৩ নম্বর ধারায় পরিষ্কার বলা হয়েছে, ‘রেড ট্রাফিক’ তথা অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরকসহ বিপজ্জনক ও আপত্তিকর পণ্য পরিবহন করা যাবে না। সমঝোতা স্মারকের ৪ নম্বর ধারায় এটাও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য ও মানুষের চলাচল সংশ্লিষ্ট দেশের জাতীয় আইন, প্রবিধান এবং প্রশাসনিক বিধানের অধীন হবে। বিএনপি এটা বলেনা যে, ভারতের মধ্য দিয়েও বাংলাদেশের ট্রেন নেপাল ও ভুটান পর্যন্ত চলবে, নেপাল-ভুটান থেকে ভারতের মধ্য দিয়ে ট্রেন বাংলাদেশে আসবে এবং কলকাতা বন্দর ব্যবহার না করে মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করবে। তারা এটাও বলেনা যে, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিদ্যুত গ্রিডের মাধ্যমে তাদের ট্রান্সমিশন লাইন ব্যবহার করে ভারতের বুক চিরে বাংলাদেশ নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করবে।

ভারতের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেশ কিছু কূটনৈতিক সাফল্য ও অর্জন তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী এ সময় আরো বলেন, ভারতের সাথে সমুদ্রসীমার বিরোধ আন্তর্জাতিক ফোরামে গিয়ে নিষ্পত্তি করে বাংলাদেশের পক্ষে রায় এনেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি অত্যাধুনিক চীনা সাবমেরিন যুক্ত করে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তর করে দেশকে সামরিকভাবে শক্তিশালী করেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা ভারতের সাথে স্থলসীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি এবং ছিটমহল সমস্যার সমাধানের মধ্য দিয়ে দশ হাজার একর জমি বাংলাদেশের মধ্যে সংযুক্ত করেছেন। ভারতের মাটিতে এবং ভারতের গ্যাস ব্যবহার করে ভারতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ত্রিপুরার পালাটানা থেকে কম খরচে আমদানি করে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার। গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তিতে ভারতকে রাজি করিয়ে, গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা শেখ হাসিনাই আদায় করেছেন। আর বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তো গঙ্গার পানির কথা বলতেই ভুলে গিয়েছিলেন-এ কথা দেশের সবাই জানে। তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির জন্য ভারতকে চাপের মধ্যে শেখ হাসিনাই রেখেছেন। এই চুক্তি হলেও তাঁর হাত ধরেই হবে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে তিস্তার পানি বন্টন নিয়ে তাদের কোনো চিন্তা ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায় না।

বিএনপি’র রাজনীতি নতজানু উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ২০১৪ সালে বিজেপি প্রথম ক্ষমতায় আসার সাথে সাথে বিএনপি মিষ্টি বিতরণ করেছিল। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভারতে গিয়ে খালেদা জিয়া গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করার কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলেন। বিএনপি সরকারে থাকাকালীন, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা নিয়ে ভারতের সাথে কখনোই একটি কথাও বলেনি। ভারতকে গ্যাস দেয়ার মুচলেকা দিয়ে ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসেছিল বিএনপি।

বিএনপি নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে এ সময় মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, আপনাদের চিন্তাধারা নতজানু, যে কারণে আপনারা আঞ্চলিক যোগাযোগ তথা regional connectivity বিরোধী। এ জন্য যখন সাবমেরিন ক্যাবল ফ্রি দেয়া হয়েছিল তখন তা নেননি এবং বাংলাদেশের জনগণকে হাজার কোটি টাকা আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন করেছেন। আপনারা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে গ্যাস রপ্তানি করতে দেননি এবং বাংলাদেশের মানুষকে স্বল্পমূল্যে গ্যাস প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করেছিলেন। আপনাদের বিবেক নতজানু, যে কারণে আপনারা নিজেরা যা করতে পারেননি, এমনকি কোনো উদ্যোগও নেননি, সেগুলো নিয়ে আওয়ামী লীগের অর্জন থাকা সত্ত্বেও নির্লজ্জের মতো সমালোচনা করেন। আপনাদের সততার মানদন্ড নতজানু, যে কারণে আপনারা ডাহা মিথ্যা কথা বলে জনগণকে প্রতিনিয়ত ধোঁকা দেন এবং বিভ্রান্ত করেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কালিগঞ্জে আইন লঙ্ঘন করে প্রকাশ্যে অবৈধভাবে ইট পোড়ানোর অভিযোগ

ভারতের সাথে সমঝোতা স্মারকের সকল ধারা না পড়েই বিএনপি অপপ্রচার করছে -তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

আপডেট সময় ১০:২৭:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

ডেস্ক রিপোর্ট : ভারতের সাথে বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারকের সকল ধারা না পড়েই এবং না বুঝেই বিএনপি অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করছে এবং ধারাগুলো খন্ডিতভাবে তুলে ধরে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

আজ সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক বক্তব্যের বিষয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সমঝোতা স্মারক কোনভাবেই সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি নয় বরং এটি উভয় দেশের জন্যই লাভজনক। বিএনপি অপপ্রচার করছে যে, বাংলার বুক চিরে ভারতের ট্রেন চললে বাংলাদেশের জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হবে। এটি মোটেই সঠিক নয়। সমঝোতা স্মারকের ৩ নম্বর ধারায় পরিষ্কার বলা হয়েছে, ‘রেড ট্রাফিক’ তথা অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরকসহ বিপজ্জনক ও আপত্তিকর পণ্য পরিবহন করা যাবে না। সমঝোতা স্মারকের ৪ নম্বর ধারায় এটাও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য ও মানুষের চলাচল সংশ্লিষ্ট দেশের জাতীয় আইন, প্রবিধান এবং প্রশাসনিক বিধানের অধীন হবে। বিএনপি এটা বলেনা যে, ভারতের মধ্য দিয়েও বাংলাদেশের ট্রেন নেপাল ও ভুটান পর্যন্ত চলবে, নেপাল-ভুটান থেকে ভারতের মধ্য দিয়ে ট্রেন বাংলাদেশে আসবে এবং কলকাতা বন্দর ব্যবহার না করে মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করবে। তারা এটাও বলেনা যে, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিদ্যুত গ্রিডের মাধ্যমে তাদের ট্রান্সমিশন লাইন ব্যবহার করে ভারতের বুক চিরে বাংলাদেশ নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করবে।

ভারতের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেশ কিছু কূটনৈতিক সাফল্য ও অর্জন তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী এ সময় আরো বলেন, ভারতের সাথে সমুদ্রসীমার বিরোধ আন্তর্জাতিক ফোরামে গিয়ে নিষ্পত্তি করে বাংলাদেশের পক্ষে রায় এনেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি অত্যাধুনিক চীনা সাবমেরিন যুক্ত করে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তর করে দেশকে সামরিকভাবে শক্তিশালী করেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা ভারতের সাথে স্থলসীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি এবং ছিটমহল সমস্যার সমাধানের মধ্য দিয়ে দশ হাজার একর জমি বাংলাদেশের মধ্যে সংযুক্ত করেছেন। ভারতের মাটিতে এবং ভারতের গ্যাস ব্যবহার করে ভারতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ত্রিপুরার পালাটানা থেকে কম খরচে আমদানি করে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার। গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তিতে ভারতকে রাজি করিয়ে, গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা শেখ হাসিনাই আদায় করেছেন। আর বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তো গঙ্গার পানির কথা বলতেই ভুলে গিয়েছিলেন-এ কথা দেশের সবাই জানে। তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির জন্য ভারতকে চাপের মধ্যে শেখ হাসিনাই রেখেছেন। এই চুক্তি হলেও তাঁর হাত ধরেই হবে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে তিস্তার পানি বন্টন নিয়ে তাদের কোনো চিন্তা ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায় না।

বিএনপি’র রাজনীতি নতজানু উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ২০১৪ সালে বিজেপি প্রথম ক্ষমতায় আসার সাথে সাথে বিএনপি মিষ্টি বিতরণ করেছিল। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভারতে গিয়ে খালেদা জিয়া গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করার কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলেন। বিএনপি সরকারে থাকাকালীন, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা নিয়ে ভারতের সাথে কখনোই একটি কথাও বলেনি। ভারতকে গ্যাস দেয়ার মুচলেকা দিয়ে ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসেছিল বিএনপি।

বিএনপি নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে এ সময় মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, আপনাদের চিন্তাধারা নতজানু, যে কারণে আপনারা আঞ্চলিক যোগাযোগ তথা regional connectivity বিরোধী। এ জন্য যখন সাবমেরিন ক্যাবল ফ্রি দেয়া হয়েছিল তখন তা নেননি এবং বাংলাদেশের জনগণকে হাজার কোটি টাকা আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন করেছেন। আপনারা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে গ্যাস রপ্তানি করতে দেননি এবং বাংলাদেশের মানুষকে স্বল্পমূল্যে গ্যাস প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করেছিলেন। আপনাদের বিবেক নতজানু, যে কারণে আপনারা নিজেরা যা করতে পারেননি, এমনকি কোনো উদ্যোগও নেননি, সেগুলো নিয়ে আওয়ামী লীগের অর্জন থাকা সত্ত্বেও নির্লজ্জের মতো সমালোচনা করেন। আপনাদের সততার মানদন্ড নতজানু, যে কারণে আপনারা ডাহা মিথ্যা কথা বলে জনগণকে প্রতিনিয়ত ধোঁকা দেন এবং বিভ্রান্ত করেন।