ঢাকা ০১:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কিছু কিছু পুলিশ এখনো ভাবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে: নবী উল্লাহ নবী Logo সৎও মিষ্টভাষী উপসচিব আবুল হাসান Logo বিজিবি’কে সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার Logo ১০ বছরের জন্য এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের বরাদ্দ পেল বাফুফে Logo তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী রাহাত ফাতেহ আলী খানের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo রাজনীতিবিদ শেখ রিয়াজ উদ্দিন রানার কিছু কথা Logo কালিগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদ্বোধন হয়েছে ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলা Logo সাবেক সচিব ইসমাইল হোসেনকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ Logo বিগত সরকারের কথিত উন্নয়নকে চ্যালেঞ্জ করে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন গড়ে উঠেছিল : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা Logo ময়মনসিংহে ‘ফ্যাক্টস ফর লাইফ’ কর্মশালা

ভারতের সাথে সমঝোতা স্মারকের সকল ধারা না পড়েই বিএনপি অপপ্রচার করছে -তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:২৭:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪
  • ৭৩ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট : ভারতের সাথে বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারকের সকল ধারা না পড়েই এবং না বুঝেই বিএনপি অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করছে এবং ধারাগুলো খন্ডিতভাবে তুলে ধরে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

আজ সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক বক্তব্যের বিষয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সমঝোতা স্মারক কোনভাবেই সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি নয় বরং এটি উভয় দেশের জন্যই লাভজনক। বিএনপি অপপ্রচার করছে যে, বাংলার বুক চিরে ভারতের ট্রেন চললে বাংলাদেশের জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হবে। এটি মোটেই সঠিক নয়। সমঝোতা স্মারকের ৩ নম্বর ধারায় পরিষ্কার বলা হয়েছে, ‘রেড ট্রাফিক’ তথা অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরকসহ বিপজ্জনক ও আপত্তিকর পণ্য পরিবহন করা যাবে না। সমঝোতা স্মারকের ৪ নম্বর ধারায় এটাও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য ও মানুষের চলাচল সংশ্লিষ্ট দেশের জাতীয় আইন, প্রবিধান এবং প্রশাসনিক বিধানের অধীন হবে। বিএনপি এটা বলেনা যে, ভারতের মধ্য দিয়েও বাংলাদেশের ট্রেন নেপাল ও ভুটান পর্যন্ত চলবে, নেপাল-ভুটান থেকে ভারতের মধ্য দিয়ে ট্রেন বাংলাদেশে আসবে এবং কলকাতা বন্দর ব্যবহার না করে মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করবে। তারা এটাও বলেনা যে, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিদ্যুত গ্রিডের মাধ্যমে তাদের ট্রান্সমিশন লাইন ব্যবহার করে ভারতের বুক চিরে বাংলাদেশ নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করবে।

ভারতের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেশ কিছু কূটনৈতিক সাফল্য ও অর্জন তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী এ সময় আরো বলেন, ভারতের সাথে সমুদ্রসীমার বিরোধ আন্তর্জাতিক ফোরামে গিয়ে নিষ্পত্তি করে বাংলাদেশের পক্ষে রায় এনেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি অত্যাধুনিক চীনা সাবমেরিন যুক্ত করে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তর করে দেশকে সামরিকভাবে শক্তিশালী করেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা ভারতের সাথে স্থলসীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি এবং ছিটমহল সমস্যার সমাধানের মধ্য দিয়ে দশ হাজার একর জমি বাংলাদেশের মধ্যে সংযুক্ত করেছেন। ভারতের মাটিতে এবং ভারতের গ্যাস ব্যবহার করে ভারতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ত্রিপুরার পালাটানা থেকে কম খরচে আমদানি করে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার। গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তিতে ভারতকে রাজি করিয়ে, গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা শেখ হাসিনাই আদায় করেছেন। আর বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তো গঙ্গার পানির কথা বলতেই ভুলে গিয়েছিলেন-এ কথা দেশের সবাই জানে। তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির জন্য ভারতকে চাপের মধ্যে শেখ হাসিনাই রেখেছেন। এই চুক্তি হলেও তাঁর হাত ধরেই হবে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে তিস্তার পানি বন্টন নিয়ে তাদের কোনো চিন্তা ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায় না।

বিএনপি’র রাজনীতি নতজানু উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ২০১৪ সালে বিজেপি প্রথম ক্ষমতায় আসার সাথে সাথে বিএনপি মিষ্টি বিতরণ করেছিল। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভারতে গিয়ে খালেদা জিয়া গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করার কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলেন। বিএনপি সরকারে থাকাকালীন, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা নিয়ে ভারতের সাথে কখনোই একটি কথাও বলেনি। ভারতকে গ্যাস দেয়ার মুচলেকা দিয়ে ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসেছিল বিএনপি।

বিএনপি নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে এ সময় মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, আপনাদের চিন্তাধারা নতজানু, যে কারণে আপনারা আঞ্চলিক যোগাযোগ তথা regional connectivity বিরোধী। এ জন্য যখন সাবমেরিন ক্যাবল ফ্রি দেয়া হয়েছিল তখন তা নেননি এবং বাংলাদেশের জনগণকে হাজার কোটি টাকা আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন করেছেন। আপনারা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে গ্যাস রপ্তানি করতে দেননি এবং বাংলাদেশের মানুষকে স্বল্পমূল্যে গ্যাস প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করেছিলেন। আপনাদের বিবেক নতজানু, যে কারণে আপনারা নিজেরা যা করতে পারেননি, এমনকি কোনো উদ্যোগও নেননি, সেগুলো নিয়ে আওয়ামী লীগের অর্জন থাকা সত্ত্বেও নির্লজ্জের মতো সমালোচনা করেন। আপনাদের সততার মানদন্ড নতজানু, যে কারণে আপনারা ডাহা মিথ্যা কথা বলে জনগণকে প্রতিনিয়ত ধোঁকা দেন এবং বিভ্রান্ত করেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কিছু কিছু পুলিশ এখনো ভাবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে: নবী উল্লাহ নবী

ভারতের সাথে সমঝোতা স্মারকের সকল ধারা না পড়েই বিএনপি অপপ্রচার করছে -তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

আপডেট সময় ১০:২৭:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

ডেস্ক রিপোর্ট : ভারতের সাথে বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারকের সকল ধারা না পড়েই এবং না বুঝেই বিএনপি অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করছে এবং ধারাগুলো খন্ডিতভাবে তুলে ধরে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

আজ সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক বক্তব্যের বিষয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সমঝোতা স্মারক কোনভাবেই সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি নয় বরং এটি উভয় দেশের জন্যই লাভজনক। বিএনপি অপপ্রচার করছে যে, বাংলার বুক চিরে ভারতের ট্রেন চললে বাংলাদেশের জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হবে। এটি মোটেই সঠিক নয়। সমঝোতা স্মারকের ৩ নম্বর ধারায় পরিষ্কার বলা হয়েছে, ‘রেড ট্রাফিক’ তথা অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরকসহ বিপজ্জনক ও আপত্তিকর পণ্য পরিবহন করা যাবে না। সমঝোতা স্মারকের ৪ নম্বর ধারায় এটাও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য ও মানুষের চলাচল সংশ্লিষ্ট দেশের জাতীয় আইন, প্রবিধান এবং প্রশাসনিক বিধানের অধীন হবে। বিএনপি এটা বলেনা যে, ভারতের মধ্য দিয়েও বাংলাদেশের ট্রেন নেপাল ও ভুটান পর্যন্ত চলবে, নেপাল-ভুটান থেকে ভারতের মধ্য দিয়ে ট্রেন বাংলাদেশে আসবে এবং কলকাতা বন্দর ব্যবহার না করে মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করবে। তারা এটাও বলেনা যে, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিদ্যুত গ্রিডের মাধ্যমে তাদের ট্রান্সমিশন লাইন ব্যবহার করে ভারতের বুক চিরে বাংলাদেশ নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করবে।

ভারতের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেশ কিছু কূটনৈতিক সাফল্য ও অর্জন তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী এ সময় আরো বলেন, ভারতের সাথে সমুদ্রসীমার বিরোধ আন্তর্জাতিক ফোরামে গিয়ে নিষ্পত্তি করে বাংলাদেশের পক্ষে রায় এনেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি অত্যাধুনিক চীনা সাবমেরিন যুক্ত করে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তর করে দেশকে সামরিকভাবে শক্তিশালী করেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা ভারতের সাথে স্থলসীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি এবং ছিটমহল সমস্যার সমাধানের মধ্য দিয়ে দশ হাজার একর জমি বাংলাদেশের মধ্যে সংযুক্ত করেছেন। ভারতের মাটিতে এবং ভারতের গ্যাস ব্যবহার করে ভারতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ত্রিপুরার পালাটানা থেকে কম খরচে আমদানি করে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার। গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তিতে ভারতকে রাজি করিয়ে, গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা শেখ হাসিনাই আদায় করেছেন। আর বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তো গঙ্গার পানির কথা বলতেই ভুলে গিয়েছিলেন-এ কথা দেশের সবাই জানে। তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির জন্য ভারতকে চাপের মধ্যে শেখ হাসিনাই রেখেছেন। এই চুক্তি হলেও তাঁর হাত ধরেই হবে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে তিস্তার পানি বন্টন নিয়ে তাদের কোনো চিন্তা ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায় না।

বিএনপি’র রাজনীতি নতজানু উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ২০১৪ সালে বিজেপি প্রথম ক্ষমতায় আসার সাথে সাথে বিএনপি মিষ্টি বিতরণ করেছিল। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভারতে গিয়ে খালেদা জিয়া গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করার কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলেন। বিএনপি সরকারে থাকাকালীন, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা নিয়ে ভারতের সাথে কখনোই একটি কথাও বলেনি। ভারতকে গ্যাস দেয়ার মুচলেকা দিয়ে ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসেছিল বিএনপি।

বিএনপি নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে এ সময় মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, আপনাদের চিন্তাধারা নতজানু, যে কারণে আপনারা আঞ্চলিক যোগাযোগ তথা regional connectivity বিরোধী। এ জন্য যখন সাবমেরিন ক্যাবল ফ্রি দেয়া হয়েছিল তখন তা নেননি এবং বাংলাদেশের জনগণকে হাজার কোটি টাকা আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন করেছেন। আপনারা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে গ্যাস রপ্তানি করতে দেননি এবং বাংলাদেশের মানুষকে স্বল্পমূল্যে গ্যাস প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করেছিলেন। আপনাদের বিবেক নতজানু, যে কারণে আপনারা নিজেরা যা করতে পারেননি, এমনকি কোনো উদ্যোগও নেননি, সেগুলো নিয়ে আওয়ামী লীগের অর্জন থাকা সত্ত্বেও নির্লজ্জের মতো সমালোচনা করেন। আপনাদের সততার মানদন্ড নতজানু, যে কারণে আপনারা ডাহা মিথ্যা কথা বলে জনগণকে প্রতিনিয়ত ধোঁকা দেন এবং বিভ্রান্ত করেন।