ঢাকা ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বাগাতিপাড়া মডেল থানা আকস্মিক পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার,নাটোর Logo দেশীয় মাছ সংকট নিরসনে উন্মুক্ত জলাশয়ের বিকল্প নেই:মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা Logo আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৫ উপলক্ষ্যে যশোর জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে- প্রাক প্রস্তুুতি সভা অনুষ্ঠিত Logo পুলিশ অফিস সম্মেলন কক্ষে আগস্ট/২০২৫ খ্রিঃ মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় Logo জামালপুর জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫ এর ফাইনালে বিভাগীয় কমিশনারের আগমন Logo আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা -২০২৫ উপলক্ষে সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড ও মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত Logo নাটোর জেলা পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজ পরিদর্শন Logo কাউখালী থানাধীন শিয়ালকাঠী চৌরাস্তা মোড়ে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত Logo পুলিশকে অতীতের নির্বাচনী কালিমা থেকে বের হয়ে নিরপেক্ষতার সর্বোচ্চ ডিগ্রী প্রদর্শন করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার

মেট্রোরেল বন্ধ থাকার কারণ জানা গেল

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:২৪:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৪
  • ৬৪৪ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট: দশম থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতির জন্য বন্ধ আছে মেট্রোরেল। তবে মেট্রোরেলের দুই স্টেশন ছাড়া সব স্টেশন ঠিক আছে। লাইন, কোচ এবং সংকেতব্যবস্থাও ঠিক রয়েছে। শনিবার (১৭ আগস্ট) ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) থেকে এ তথ্য জানা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মেট্রোরেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবিগুলো অনেক আগে থেকেই তারা করে আসছিল। এ জটিলতা নিরসন না হওয়া পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু করা যাচ্ছে না। কর্মচারীরা লিখিতভাবে দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে অনড়।

ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, কোম্পানিতে যত লোকবল রয়েছে এবং বিভিন্ন প্রকল্পের শীর্ষ কর্মকর্তাদের প্রায় সবাই প্রশাসন ক্যাডারের। সরকারের বিভিন্ন প্রকৌশল দপ্তরের সাবেক কর্মকর্তারাও চুক্তিতে নিয়োজিত আছেন। কোম্পানির কর্মকর্তার সংখ্যা ৫০–এর কাছাকাছি। আর বিভিন্ন প্রকল্পে আরও কর্মকর্তা নিয়োজিত আছেন। এর মধ্যে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন ছিদ্দিক ২০১১ থেকে ২০১৭ সালের ১১ অক্টোবর পর্যন্ত সড়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। অবসরে যাওয়ার পর ২০১৭ সালের ২৬ অক্টোবর চুক্তিতে তিনি মেট্রোরেলের এমডি পদে নিযুক্ত হন। এখনও তিনি এই দায়িত্বে আছেন।

অন্যদিকে মেট্রোরেল চালানো, টিকিট বিক্রি, রক্ষণাবেক্ষণসহ সব দায়িত্ব নিচের দিকের স্থায়ী কর্মীদের। তারা ১০ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারী। তাদের সংখ্যা সাত শতাধিক। ৮ আগস্ট থেকে তারা বৈষম্য দূর করার ছয় দফা দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন। ২০১৯ সাল থেকে এই কর্মচারী নিয়োগ শুরু হয়। নিয়োগ এখনও চলমান।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ডিএমটিসিএল শতভাগ সরকার মালিকানাধীন কোম্পানি। চুক্তিভিত্তিক ও বাইরে থেকে আসা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মূল বেতনের ২ দশমিক ৩ গুণ বেতন পান। আর ডিএমটিসিএলের ১০ থেকে ২০তম গ্রেডের স্থায়ী কর্মীরা পান দুই গুণ। এটা একটা বড় অভিযোগ নিচের দিকের স্থায়ী কর্মীদের। এ ছাড়া কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ডও (প্রদেয় ভবিষ্যৎ তহবিল) চালু হয়নি তাদের।

এদিকে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর ১১ আগস্ট উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ১৭ আগস্ট থেকে মেট্রোরেল চালু হবে। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল স্বাভাবিক নিয়মে চলাচল করবে। তবে মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে আপাতত ট্রেন থামবে না। কারণ, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় এ দুটি স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার ডিএমটিসিএল সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গত শনিবার থেকে মেট্রোরেল চালু সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান। এতে বলা হয়, অনিবার্য কারণে প্রয়োজনীয় কারিগরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখনও শুরু করা সম্ভব হয়নি।

তবে ডিএমটিসিএলের সূত্র জানায়, নিচের দিকের কর্মচারীদের কর্মবিরতির কারণেই মেট্রোরেল চালু করা যায়নি। কর্মবিরতিতে যাওয়ার পর কর্মচারীদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করে দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়। এর মধ্যে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীর সঙ্গেও বৈঠক হয় কর্মবিরতিতে থাকা কর্মচারীদের। তাদের জানানো হয়, দাবিদাওয়া পূরণ করতে হলে ডিএমটিসিএলের পরিচালনা পরিষদের অনুমোদন লাগবে। কিন্তু এখন পরিষদের অনেক সদস্যই নেই।

সার্বিক বিষয়ে মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, সড়ক সচিব নতুন নিয়োগ হয়েছে। সামনে একটি বোর্ড হবে। সে বোর্ড সভায় কর্মচারীদের সব দাবি মানা হবে। বোর্ড ছাড়া তো কোন কিছু করা সম্ভব না। কর্মচারীদের যৌক্তিক সব দাবি তারা মেনে নেবেন। এ বিষয়ে নিশ্চয়তাও দেওয়া হয়েছে। তবে কর্মচারীরা ডিএমটিসিএলের পর্ষদে পাস করার পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করতে চান। আগামীকাল (রবিবার) সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আসা উপদেষ্টাকে বিষয়টি অবহিত করার চেষ্টা করব। আমরা খুব দ্রুত মেট্রোরেল চালু করতে চাই বলে জানান তিনি।

তথ্য: দেশ রূপান্তর

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাগাতিপাড়া মডেল থানা আকস্মিক পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার,নাটোর

মেট্রোরেল বন্ধ থাকার কারণ জানা গেল

আপডেট সময় ০৭:২৪:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৪

ডেস্ক রিপোর্ট: দশম থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতির জন্য বন্ধ আছে মেট্রোরেল। তবে মেট্রোরেলের দুই স্টেশন ছাড়া সব স্টেশন ঠিক আছে। লাইন, কোচ এবং সংকেতব্যবস্থাও ঠিক রয়েছে। শনিবার (১৭ আগস্ট) ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) থেকে এ তথ্য জানা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মেট্রোরেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবিগুলো অনেক আগে থেকেই তারা করে আসছিল। এ জটিলতা নিরসন না হওয়া পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু করা যাচ্ছে না। কর্মচারীরা লিখিতভাবে দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে অনড়।

ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, কোম্পানিতে যত লোকবল রয়েছে এবং বিভিন্ন প্রকল্পের শীর্ষ কর্মকর্তাদের প্রায় সবাই প্রশাসন ক্যাডারের। সরকারের বিভিন্ন প্রকৌশল দপ্তরের সাবেক কর্মকর্তারাও চুক্তিতে নিয়োজিত আছেন। কোম্পানির কর্মকর্তার সংখ্যা ৫০–এর কাছাকাছি। আর বিভিন্ন প্রকল্পে আরও কর্মকর্তা নিয়োজিত আছেন। এর মধ্যে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন ছিদ্দিক ২০১১ থেকে ২০১৭ সালের ১১ অক্টোবর পর্যন্ত সড়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। অবসরে যাওয়ার পর ২০১৭ সালের ২৬ অক্টোবর চুক্তিতে তিনি মেট্রোরেলের এমডি পদে নিযুক্ত হন। এখনও তিনি এই দায়িত্বে আছেন।

অন্যদিকে মেট্রোরেল চালানো, টিকিট বিক্রি, রক্ষণাবেক্ষণসহ সব দায়িত্ব নিচের দিকের স্থায়ী কর্মীদের। তারা ১০ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারী। তাদের সংখ্যা সাত শতাধিক। ৮ আগস্ট থেকে তারা বৈষম্য দূর করার ছয় দফা দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন। ২০১৯ সাল থেকে এই কর্মচারী নিয়োগ শুরু হয়। নিয়োগ এখনও চলমান।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ডিএমটিসিএল শতভাগ সরকার মালিকানাধীন কোম্পানি। চুক্তিভিত্তিক ও বাইরে থেকে আসা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মূল বেতনের ২ দশমিক ৩ গুণ বেতন পান। আর ডিএমটিসিএলের ১০ থেকে ২০তম গ্রেডের স্থায়ী কর্মীরা পান দুই গুণ। এটা একটা বড় অভিযোগ নিচের দিকের স্থায়ী কর্মীদের। এ ছাড়া কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ডও (প্রদেয় ভবিষ্যৎ তহবিল) চালু হয়নি তাদের।

এদিকে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর ১১ আগস্ট উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ১৭ আগস্ট থেকে মেট্রোরেল চালু হবে। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল স্বাভাবিক নিয়মে চলাচল করবে। তবে মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে আপাতত ট্রেন থামবে না। কারণ, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় এ দুটি স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার ডিএমটিসিএল সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গত শনিবার থেকে মেট্রোরেল চালু সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান। এতে বলা হয়, অনিবার্য কারণে প্রয়োজনীয় কারিগরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখনও শুরু করা সম্ভব হয়নি।

তবে ডিএমটিসিএলের সূত্র জানায়, নিচের দিকের কর্মচারীদের কর্মবিরতির কারণেই মেট্রোরেল চালু করা যায়নি। কর্মবিরতিতে যাওয়ার পর কর্মচারীদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করে দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়। এর মধ্যে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীর সঙ্গেও বৈঠক হয় কর্মবিরতিতে থাকা কর্মচারীদের। তাদের জানানো হয়, দাবিদাওয়া পূরণ করতে হলে ডিএমটিসিএলের পরিচালনা পরিষদের অনুমোদন লাগবে। কিন্তু এখন পরিষদের অনেক সদস্যই নেই।

সার্বিক বিষয়ে মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, সড়ক সচিব নতুন নিয়োগ হয়েছে। সামনে একটি বোর্ড হবে। সে বোর্ড সভায় কর্মচারীদের সব দাবি মানা হবে। বোর্ড ছাড়া তো কোন কিছু করা সম্ভব না। কর্মচারীদের যৌক্তিক সব দাবি তারা মেনে নেবেন। এ বিষয়ে নিশ্চয়তাও দেওয়া হয়েছে। তবে কর্মচারীরা ডিএমটিসিএলের পর্ষদে পাস করার পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করতে চান। আগামীকাল (রবিবার) সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আসা উপদেষ্টাকে বিষয়টি অবহিত করার চেষ্টা করব। আমরা খুব দ্রুত মেট্রোরেল চালু করতে চাই বলে জানান তিনি।

তথ্য: দেশ রূপান্তর