
কাইয়ুম বাদশাহ : সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলায় অনলাইনে পরিচয়ের সূত্র ধরে এক প্রতিবন্ধী তরুণীকে বিয়ে করে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে এক বিবাহিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মধ্যনগর উপজেলার ১নং উত্তর বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের রুবি আক্তার (পিতা: আব্দুল মালেক) অনলাইনের মাধ্যমে পরিচিত হন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বাসিন্দা মোঃ সালেক আহমেদ (পিতা: আতাবুর রহমান)-এর সঙ্গে। কয়েক মাসের পরিচয়ের পর সালেক নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে রুবিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন।
প্রায় তিন লাখ টাকা কাবিনে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর তারা প্রায় দুই মাস একসঙ্গে সংসার করেন। কিন্তু অল্প কিছুদিনের মধ্যেই প্রকাশ পায়, সালেকের আগেও এক স্ত্রী ও তিন সন্তান রয়েছে।
গত ১০ অক্টোবর সালেকের প্রথম স্ত্রী সুজিনা আক্তার হঠাৎ হোসেনপুর গ্রামে এসে সালেককে নিজের স্বামী হিসেবে দাবি করেন। তিনি বলেন,
“আমি আমার স্বামীকে চাই, সে আমার কাছেই থাকবে।”
এ সময় উপস্থিত স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং মুহূর্তেই ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
প্রতিবন্ধী রুবি আক্তার সাংবাদিকদের বলেন,
“আমি একজন প্রতিবন্ধী মেয়ে। আমার বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই। আমি তাকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করে বিয়ে করেছি। সে আমাকে প্রতারণা করেছে, তবুও আমি তার সঙ্গে সংসার করতে চাই।”
অন্যদিকে সালেক আহমেদ সাংবাদিকদের জানান,
“আমি রুবিকে নিয়েই সংসার করতে চাই। আগের স্ত্রীকে ছেড়ে দেবো। তার কাছ থেকে কষ্ট ছাড়া কিছু পাইনি। রুবি পঙ্গু হলেও আমি তাকে ভালোবাসি, আমি তার সঙ্গেই থাকতে চাই।”
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চলছে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা। অনেকে এটিকে সমাজে নৈতিক অবক্ষয়ের একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন।
নিজস্ব সংবাদ : 




















