
নিজস্ব প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ১নং শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হায়দার-এর বিরুদ্ধে ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় নারীদের সঞ্চয়ের ২১ লাখ ১২ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসন তদন্ত শুরু করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের ৪০০ জন নারী উপকারভোগী প্রত্যেকে ৫,২৮০ টাকা করে সঞ্চয় জমা দেন। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি হিসাবে ওই টাকা জমা না দিয়ে চেয়ারম্যান আলী হায়দার ব্যক্তিগতভাবে নিজের কাছে রেখেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও উপকারভোগীরা টাকা ফেরত না পেয়ে একাধিকবার চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েও কোনো ফল পাননি। পরে ক্ষুব্ধ হয়ে ১২ অক্টোবর ফরিদা বেগমের স্বামী আলী আহমদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগের পর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো. আফজাল হোসেন ২২ অক্টোবর সরজমিনে তদন্তে গেলে চেয়ারম্যান আলী হায়দার উপস্থিত সবার সামনে টাকা নিজের কাছে রাখার বিষয়টি স্বীকার করেন এবং ১৫ নভেম্বরের মধ্যে ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
প্যানেল চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, “চেয়ারম্যান সাহেব ভিজিডির টাকা সরকারি হিসাবে না রেখে ব্যক্তিগতভাবে রেখেছেন। তিনি ১৫ নভেম্বরের মধ্যে ফেরতের আশ্বাস দিয়েছেন।”
ভুক্তভোগী ফরিদা বেগম বলেন, “আমরা অনেক কষ্ট করে টাকা জমা দিয়েছি। জানুয়ারিতে ফেরত পাওয়ার কথা থাকলেও এখনও পাইনি। জানি না টাকা আদৌ ফেরত পাব কিনা।”
তদন্ত কর্মকর্তা মো. আফজাল হোসেন জানান, “ইউএনও স্যারের নির্দেশে তদন্ত চলছে। সরজমিনে ইউনিয়ন পরিষদের গুদাম থেকে আরও ৩৪ বস্তা ভিজিডি চাল জব্দ করা হয়েছে।”
তাহিরপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহরুখ আলম শান্তনু বলেন, “তদন্তপূর্বক বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান আলী হায়দার বলেন, “আমি অসুস্থ থাকায় সময়মতো টাকা ফেরত দিতে পারিনি। আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে উপকারভোগীদের টাকা ফেরত দেব।”
নিজস্ব সংবাদ : 



















