ঢাকা ১১:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo উল্লাপাড়া আসনে এনসিপি’র মনোনয়ন ফরম নিলেন দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী প্রীতি Logo ফরিদপুর-৩: বিএনপির প্রার্থী নায়াব ইউসুফ ধানের শীষের পক্ষে ভোট চেয়ে মাঠে Logo কোতোয়ালী থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে এক লাখ ইয়াবা, প্রাইভেটকার ও মোবাইল উদ্ধার Logo মেহেরপুরে প্রেমিকের সাথে ঘুরতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার প্রেমিকা, আটক-২ Logo ডাকসু ভিপির ঘোষণা: “নিজের ভবিষ্যৎ দেখিয়ে দিছে!” মশাল মিছিলের প্রস্তুতি Logo নারী দুর্বৃত্ত, আইন ও সভ্য সমাজের মানদণ্ড Logo খুলনায় ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার Logo মোহাম্মদপুরে পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে ৩৫টি ককটেল ও সরঞ্জাম উদ্ধার Logo ঢাকা ডিবি ৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার করেছে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের Logo রাজশাহীতে বিচারকের পুত্র তাওসিফের মৃত্যুর আসল কারণ ময়নাতদন্তে জানা গেল
কোনো সমাজেই অপরাধ লিঙ্গভেদে ভাগ হয় না। নারী হোক বা পুরুষ—দুর্বৃত্তকে আইনের আওতায় আনা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

নারী দুর্বৃত্ত, আইন ও সভ্য সমাজের মানদণ্ড

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৩৪:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫৩১ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার : একজন নারী যদি অপরাধে জড়িত হন, তবে তাঁকে আইনের বাইরে রেখে বিশেষ সুবিধা দেওয়া ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। একটি সভ্য দেশে নারী বা পুরুষ—দু’জনেরই অপরাধের বিচার আইনের একই মানদণ্ডে হওয়া উচিত।

অনেকে প্রশ্ন তোলেন—নারী দুর্বৃত্ত বা নারী দাঙ্গাকারীদের সঙ্গে পুলিশ কীভাবে আচরণ করবে? উত্তর খুবই সহজ—যেভাবে একজন পুরুষ অপরাধীর সঙ্গে আচরণ করা হয়, আইনি প্রক্রিয়ার ভেতরে থেকেই ঠিক সেভাবেই। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে নারী সদস্য রয়েছেন, যাঁরা প্রয়োজনে নারী অভিযুক্তদের নিয়ন্ত্রণে আনেন, গ্রেপ্তার করেন, এবং আইনি নিয়মে হেফাজতে নেন। প্রয়োজনে বলপ্রয়োগও করা হয়—তবে সেটিও আইনানুগ সীমার মধ্যে।

একইভাবে, যদি কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের নারী সদস্যরা সহিংসতা, সন্ত্রাস বা ভাঙচুরে অংশ নেন, তাহলে তাঁরা কেবল নারী বলেই দায়মুক্তি পাবেন—এমন ধারণা ন্যায়বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। রাষ্ট্রের উচিত আইনের শাসন বজায় রেখে সব নাগরিকের প্রতি সমান আচরণ করা।

২০২৪ সালের জুলাইয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের ওপর কিছু ছাত্র সংগঠনের হামলার যে ছবি আমরা দেখেছি, তা ছিল একটি সভ্য সমাজের জন্য লজ্জাজনক দৃশ্য। সেখানেও দেখা গেছে, নারী ভুক্তভোগীদের প্রতি সহিংসতা যেভাবে পরিচালিত হয়েছে, তা সভ্য রাষ্ট্রব্যবস্থায় গ্রহণযোগ্য নয়।

অতএব, নারী বা পুরুষ—যেই হোক না কেন, রাষ্ট্রের আইন সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়াই একটি ন্যায্য ও মানবিক সমাজের লক্ষণ।

জনপ্রিয় সংবাদ

উল্লাপাড়া আসনে এনসিপি’র মনোনয়ন ফরম নিলেন দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী প্রীতি

কোনো সমাজেই অপরাধ লিঙ্গভেদে ভাগ হয় না। নারী হোক বা পুরুষ—দুর্বৃত্তকে আইনের আওতায় আনা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

নারী দুর্বৃত্ত, আইন ও সভ্য সমাজের মানদণ্ড

আপডেট সময় ০৩:৩৪:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার : একজন নারী যদি অপরাধে জড়িত হন, তবে তাঁকে আইনের বাইরে রেখে বিশেষ সুবিধা দেওয়া ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। একটি সভ্য দেশে নারী বা পুরুষ—দু’জনেরই অপরাধের বিচার আইনের একই মানদণ্ডে হওয়া উচিত।

অনেকে প্রশ্ন তোলেন—নারী দুর্বৃত্ত বা নারী দাঙ্গাকারীদের সঙ্গে পুলিশ কীভাবে আচরণ করবে? উত্তর খুবই সহজ—যেভাবে একজন পুরুষ অপরাধীর সঙ্গে আচরণ করা হয়, আইনি প্রক্রিয়ার ভেতরে থেকেই ঠিক সেভাবেই। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে নারী সদস্য রয়েছেন, যাঁরা প্রয়োজনে নারী অভিযুক্তদের নিয়ন্ত্রণে আনেন, গ্রেপ্তার করেন, এবং আইনি নিয়মে হেফাজতে নেন। প্রয়োজনে বলপ্রয়োগও করা হয়—তবে সেটিও আইনানুগ সীমার মধ্যে।

একইভাবে, যদি কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের নারী সদস্যরা সহিংসতা, সন্ত্রাস বা ভাঙচুরে অংশ নেন, তাহলে তাঁরা কেবল নারী বলেই দায়মুক্তি পাবেন—এমন ধারণা ন্যায়বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। রাষ্ট্রের উচিত আইনের শাসন বজায় রেখে সব নাগরিকের প্রতি সমান আচরণ করা।

২০২৪ সালের জুলাইয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের ওপর কিছু ছাত্র সংগঠনের হামলার যে ছবি আমরা দেখেছি, তা ছিল একটি সভ্য সমাজের জন্য লজ্জাজনক দৃশ্য। সেখানেও দেখা গেছে, নারী ভুক্তভোগীদের প্রতি সহিংসতা যেভাবে পরিচালিত হয়েছে, তা সভ্য রাষ্ট্রব্যবস্থায় গ্রহণযোগ্য নয়।

অতএব, নারী বা পুরুষ—যেই হোক না কেন, রাষ্ট্রের আইন সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়াই একটি ন্যায্য ও মানবিক সমাজের লক্ষণ।